শাহারুল ইসলাম রাজ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এখন,শ্রাবন মাস (বর্ষা কাল)এই বর্ষার সময় বর্ষা হবে কৃষকরা এটাই আশা করে।কিন্তু এ বছর বর্ষার ভাবটা তুলনামূলক ভাবে খুবি কম। যার কারণে ঠিক সময় চাষিরা আমণের চারা রোপণ করতে পারিনি।কিন্তু, গত বেশ কিছু দিন যাবত ধরে কিছুটা ভারি বৃষ্টি হয়েছে আর তাই এই সূবর্ণ সুযোগটা নষ্ট না করেই যশোর শার্শা উপজেলার সকল গ্রাম অঞ্চলের কৃষক ভাইরা আমণ ধানের চারা রোপণে ভীষণ ব্যাস্ত সময় পার করছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা আমন, ইরি সহ সবুজ ফসল উৎপাদনে অনেক অভিজ্ঞ।
শার্শা উপজেলার আবাদি জমির উর্বরতাটা একটু অনেকটা বেশি। সে জন্যই বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা যায়। তার পাশাপাশি সবুজ ফসল উৎপাদন সহ আম চাষাবাদে এ অঞ্চলে চাষিরা বিখ্যাত।এবার শ্রাবণের বর্ষা মৌসুমে প্রথমে খুব একটা ভালো বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায়নি। অনেক চাষীকে আবাদি জমিতে বাড়তি পানি সেচ দিতে দেখা গেছে।অনেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় ধীরগতি করছিল আমন ধরনের চারা রোপন।
শার্শা উপজেলার কৃষি অফিস সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি আমন মৌসুমে শার্শা উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১ শ’ ১৪ মেট্রিক টন। ইরি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্যও পেয়েছে। এতে কৃষকরা অনেকটা খুশি। এজন্য কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, শার্শা উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনে অনেক অভিজ্ঞ তাই যথারীতি ভাবে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই আবাদি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।শ্রাবণ মাসের মধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে। এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমন ধানের চাষাবাদে কৃষকদেরও অনেকটা আগ্রহ বেশি রয়েছে। এতে ব্যয় কম হলেও ধান উৎপাদন ভালো হবে এটাই আমি এবং আমার উপজেলার সকল চাষি ভাইরা আশা বাদি।