যশোরে বিয়ে করতে এসে, রানা নামে এক ভূয়া সেনা কর্মকর্তা গ্রেফতার

0
1

যশোর প্রতিনিধি –  জনতা সোহেল রানা নামে এক ভূয়া সেনা কর্মকর্তাকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি নড়াইল জেলার সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ তার কাছ থেকে সেনা বাহিনীর বিভিন্ন র‌্যাংকের ৭টি পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

সোহেল রানা নিজেকে সেনা কর্মকর্তা দাবি করে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করার জন্য তার বাড়িতে গেলে স্থানীয় জনতা গনপিটুনি দেয়।

যশোর তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম জানান, যশোর সদর উপজেলার শালিয়াট গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া সুলতানার সাথে সোহেল রানার ২/৩ বছর আগে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্রধরে সোহেল রানা মোবাইল ফোনে সুমাইয়া সুলতানার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সুমাইয়া সুলতানার কাছে নিজেকে সেনা বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেনেন্ট পরিচয় দেয়। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সোহেল রানা নীল রংয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে শালিয়াট গ্রামের সোহরাব হোসেনের বাড়ি যায়। সেখানে যেয়ে সুমাইয়া সুলতানাকে বিয়ের কথা বলে। সুমাইয়া সুলতানা যশোর নাসিং ইনষ্টিটিউটের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে খন্ডকালীন চাকুরী করেন। ২/৩ বছর আগে জেনারেল হাসপাতালে সোহেল রানা এক রোগীকে নিয়ে আসার পর সুমাইয়া সুলাতানার সাথে পরিচয় হয়। ওই সময় থেকে সুমাইয়া সুলতানার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

বৃহস্পতিবার বিয়ে করতে এসে সোহেল রানার কথা বার্তা সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে গনপিটুনি দেয়। এক পর্যায় সোহেল রানা স্বীকার করে তিনি ভূয়া সেনা কর্মকর্তা। পরে স্থানীয় তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে পুলিশ সদস্যরা সোহেল রানাকে হেফাজতে নেয়। সোহেল রানা পুলিশের কাছে ভূয়া সেনা কর্মকর্তা বলে স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের একজন এএসআই বাদি হয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। সোহেল রানাকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here