বুধবার বিকেলে যশোর জিলা স্কুলের সামনে লিপি ও তার সঙ্গীরা অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি ওয়াকিটকি সেট ও প্রচুর ছবি উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আটক সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে থাকা ওয়াকিটকি দু’টি ‘সাংবাদিক রেহেনা’ ওরফে লিপির কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানান। জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল আরও জানান, রেহেনা (লিপি) যশোর প্রেস ক্লাবের সদস্য। কিন্তু রেহেনা বা লিপি নামে যশোর প্রেস ক্লাবের কোনো সদস্য নেই বলে জানতে পারে পুলিশ। সোহেল উল্টাপাল্টা তথ্য দিতে থাকলে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রেহেনা ওরফে লিপিকে আটক করা হয়।
সমীর কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে লিপিকে যশোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত এ ব্যাপারে শুনানি করলেও এখনও কোনো আদেশ দেননি।
লিপি চৌগাছার নারায়নপুর গ্রামের মিঠুর স্ত্রী এবং মাশিলা গ্রামের হানিফের মেয়ে। যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় থাকেন তিনি। লিপি ছাড়াও আটক অন্যরা হলেন- শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া বিল্লাল মসজিদের পাশের বাবুলের মেয়ে প্রিয়া, শংকরপুর সরকারি মুরগির খামার এলাকার লিটনের ছেলে সোহেল, রেলস্টেশন এলাকার টুকুর ছেলে বাবু এবং আশ্রম রোডের সাহেব বাবুর বাড়ির সামনের সুরুজ মিয়ার ছেলে ওহিদুল।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, রেহেনার কাছে থেকে যশোর থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক স্মৃতি’ নামের একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। ওয়াকিটকি সেট দু’টি তিনি একটি অনলাইন থেকে কিনেছে বলেও প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছেন।
এছাড়া বছর খানেক আগে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার একজন ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে লিপিকে আটক করেছিল পুলিশ। এছাড়া কয়েক মাস আগে যশোর শহরের দড়াটানা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।