মোঃ রায়হান হোসেন – যশোরে গণপিটুনিতে সানি হোসেন (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় গণপিটুনিতে আনন্দ (২৪) নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছে। এর আগে সন্ধা ৭টার দিকে শংকরপুর এলাকার কাউন্সিলর মোস্তফার অফিসের সামনে নয়ন হোসেন নামে এক যুবকের উপর বোমা হামলা করে সানি ও আনন্দ।
মঙ্গলবার রাতে শহরের শংকরপুর বাস টার্মিনালের বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে গণপিটুনি ঘটনা ঘটে। নিহত সানি হোসেন শহরের শংকরপুর এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে। আহত আনন্দ একই এলাকার অসোকের ছেলে। বোমা হামলায় আহত নয়ন একই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শংকরপুর বাস টার্মিনালের বাসের চাঁঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সানি হোসেন ও আনন্দসহ ৪/৫ জন শংকরপুর এলাকার কাউন্সিলর মোস্তফার অফিসের সামনে থেকে একই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে নয়ন হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা করে। বোমা বিষ্ফোরনে নয়ন গুরুতর আহত হয়। তাকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন সানি হোসেন ও আনন্দকে শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ওহেদুজ্জামান আজাদ রাত নয়টার দিকে সানি হোসেনকে মৃৃত্যু নিশ্চিত করেন।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ওসি অপূর্ব বলেন, শংকরপুর বাস টার্মিনালে বাস কাউন্টারের চাঁঁদাবাজির কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, বাসের হেলপার ড্রাইভার সহ স্থানীয় লোকজন নয়নকে বোম মারার কারণে গণপিটুনি দিয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে যদি মামলা করে তাহলে আমরা মামলা নেবো। তা না হলে পুলিশ বাদি হয়ে হত্যা মামলা করবে।