দৈনিক সমাজের কন্ঠ

সারাদেশের মতো চৌগাছায়ও শীতের প্রভাবে অতিষ্ট অসহায় গরীব মানুষগুলো

চৌগাছা প্রতিনিধিঃ প্রায় সূর্য উঠেনি তিন দিন । ৩দিন সূর্য না উঠায় ঘন কুয়াশায় ও কনকনে শীতে  জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চারিদিকে নিস্তব্ধ। সারা বাংলাদেশে মাধ্যমিক ও কলেজ লেভেলের শিক্ষার্থীদের সরকারি ছুটি চলছে। সকাল হলেও যেনো ঘুম থেকে উঠছে না কেউ। এমনি অবস্থা যেনো চারিদিকে। তীব্র শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বড় কষ্টে আছে। এরপরও রেহাই নেই। চলছে শীতে শ্রমিকদের হাড় ভাঙা খাটুনি। চলছে সংসারের ঘানি টানা অভিভাবকদের কাজে বেরিয়ে পড়ার দৃশ্য। শীতের এই কঠিন আবহাওয়ায় (শৈত্য প্রবাহ) তিন দিন ধরে যদিও রৌদ্রের দেখা মেলেনি, কিন্তু বসে নেই কেউ। সবার সবই চলছে, তবে অতি কষ্টে। এমনটি দেখা যায় শ্রমিক, কুলি, মজুর, জেলে, কৃষকদের দিকে তাকালে।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার পরে দেখা মেলে চৌগাছা উপজেলার ধূলিয়ানী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের রাস্তায় কর্মসূচীর কাজে ব্যস্ত লোকদের সাথে। তারা সকালেই এসেছে কাজে। কিন্তু হাত চলছেনা, পা চলছেনা এই শীতে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে যাচ্ছে তবুও দেখা নেই একটুখানি রৌদ্রের। তাই একটু আরাম পেতে, শীতের হাত থেকে গরমের ছোয়া পেয়ে একটু শান্তির আশায় কর্মসূচীর লোকগুলো সকলেই দলে দলে আগুন পোহানোর কাজে ব্যস্ত। একটু ছবি তুলতে গেলে তাদের ভাষ্যটা এমন দাড়ায় যে, ছবি তুলে কি হবে? কম্বল পাওয়া যায় কিনা দেখ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার অসহায়ভাবে বসবাসকারী অনেকেই এ প্রতিবেদককে শীতে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলেন। সারাদেশের মতো চৌগাছায় গত তিনদিন থেকে তীব্র শীত নেমে আসায় বিশেষত ভাসমান দরিদ্র মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এসব দরিদ্র মানুষরা এখনও শীতের কাপড় কিনতে পারেননি। গত তিন রাত থেকে তারা শীতে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করছেন। এ প্রতিবেদক আজ সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায়ভাবে বসবাস করা মানুষের শীতের কষ্ট করার দুর্ভোগ দেখতে পান। তাদের অধিকাংশই সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে গরম কাপড় পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান।