ডা. শাহরিয়ার আহমেদঃ যশোরের সকল উপজেলার গ্রামে গ্রামে আমের বোলের ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। আমের মুকুলে পাগল করা মৌ মৌ ঘ্রাণে মৌমাছির আনাগোনায় প্রকৃতি সেজেছে এক অপরুপ সাজে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বিপুল পরিমানে আমের ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শীতে দক্ষিণাঞ্চলে গুটি আম, আঁঠির আম সহ শেষ ভাগে ও ফাল্গুনের আগমনী বার্তা নিয়ে নানান জাতের আমের গাছে ধরেছে মুকুল। যশোর অঞ্চলের মতো প্রায় সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা শহর নগর সর্বত্র গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ফলের রাজা আম এর স্বর্ণালী মুকুল।
শহর ও তার আশপাশ উপজেলাগুলোতে আমের স্বর্ণালী মুকুলে ছেয়ে গেছে। রাস্তার পাশে বাড়ির আঙিনায় পুকুরপাড়ে ঘেরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছ গুলো যেন সোনালী চাদর জড়িয়ে আছে। আর এই চোখ জুড়ানো মুকুল দেখে খুশি গাছ মালিকরা। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার সময়। আমের মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা ও হপার পোকা । কৃষিবিদরা জানান, আম গাছে মুকুল আসার ১০ দিনের ভিতরে একবার গুটি ধরার পরে একবার ও মার্বেল আকৃতি হওয়ার পরে একবার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক আম গাছে স্প্রে করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় ।
এছাড়া মুকুল আসার পরে গাছের গোড়ায় পানি ও সার দিতে হয়। আবহাওয়ার উপর আমের ফলন নির্ভর করে, এবার তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এই অঞ্চলে এবার আমের ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে।