সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – একলাম্পশিয়া জনিত জটিলতায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন টেবিলে প্রসূতীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তবে স্বজনরা দাবী করছে ডাক্তারদের দায়িত্বহীনতার কারণে অপারেশনের টেবিলে প্রসূতী মাসহ গর্ভের সন্তানের মারা গেছে। আজ ১৭ই জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ লিটু জানান, সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার পরও চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও প্রসুতী মা ও বাচ্চাকে বাঁচাতে পারেননি। মৃত প্রসুতীর স্বামী মোঃ আব্দুল মজিদের দাবী, আজ মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে তার স্বজনরা সকাল ৮টার দিকে প্রসুতীকে হাসপাতালের প্রসূতী বিভাগে ইউনিট-১ এ ভর্তি করান। তার রেজিষ্টার নাম্বার ২৩৪১৬১/১৯। এ সময় ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় ইন্টার্ণী চিকিৎসক ও সেবিকাদের সহযোগীতায় রোগীকে চেকআপ করলে প্রসুতীর প্রি-একলামসিয়া পাওয়া যায়। বিষয়টি মোবাইলফোনে ইন্টার্ণী চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসককে জানান। অনুপস্থিত ওই চিকিৎসক মোবাইলে রোগীর চিকিৎসা দিয়ে নরমালে চেষ্টা করতে ইণ্টার্ণ চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেন।তাতে কাজ না হলে অপারেশন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর সকাল অনুমান সাড়ে নয়টার দিকে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়লে চিকিৎসক মোবাইল ফোনে অপারেশন করার জন্য প্রসুতীকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে বলেন। এরপর রোগীকে ওটিতে নিয়ে যাবার পরও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সমসয়মতো না আসতে পারায় রোগীর উচ্চ রক্তাচাপ জনিত কারনে খিচুনি উঠলে কিছুক্ষনের ভিতর প্রসুতীর মৃত্যু হয়।রোগীর মৃত্যু হলেও উক্ত চিকিৎসক অপারেশন থিয়েটারে অনুপস্থিত থাকায় দ্রুত অপারেশন করে গর্ভের সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষন পরেই চিকিৎসকরা অপারেশন রুমে গিয়ে ১০টা ২০ মিনিটে রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, প্রি-একলামসিয়া নিয়ে রোগী ভর্তি হলে তাকে দ্রুত সিজারীয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসাব করাতে হয়। কিন্তু এই রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমে নরমালে বাঁচ্চ বের করতে ট্রাই করা হয়েছে। পরে খারাপ হলে অপারেশনের জন্য নেয়া হলেও চিকিৎসক অপারেশন করতে দেরি করায় রোগীর পেসার বেড়ে গিয়ে খিচুনি উঠে রোগীর মৃত্যু হয়।