তবে এরমধ্যে একজন জীবিত থাকলেও ওই স্থানে তাকে জীবিত অবস্থায়সহ ৫জন শহীদকে
স্থানীয় মজুরদের দিয়ে গর্ত করিয়ে মাটি চাপা দেয়। সেসময় গণকবর খননকারী
কলারোয়ার মজুর প্রয়াত অমেদালী মৃত্যুর আগে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,
মাটি চাঁপা দেয়ার পূর্বে ১জন তরুণ গুলিবিদ্ধের পরও জীবিত ছিল, তারপরও
নরপশুরা ওই তরুণকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয়। এরআগে একজন অধ্যাপকসহ খুলনা
দৌলতপুর বিএল কলেজের কয়েকজন ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য ভারত
যাওয়ার পথে কলারোয়া-সরসকাটি সড়কের বামনখালী বাজারে পাক-বাহিনীর হাতে তারা
আটক হয়। এরা সবাই ছিলেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। পরবর্তীতে তাদের থানায়
নিয়ে আসার পথে অধ্যাপকসহ ৩/৪ জন পালিয়ে যেতে স্বক্ষম হলেও ৫জন শহীদকে
হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। এছাড়া উপজেলার পাঁচনল গ্রামের মতিয়ার, রশিদ,
শামসুসহ ৬জনকে পাক-বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববতী শার্শার জামতলা
বাজারের সন্নিকটে নেয়ার পথে পাক-হায়েনাদের কবল থেকে শামসুর রহমান পালিয়ে
আসতে স্বক্ষম হলেও অন্য ৫জনকে হত্যা করে সেখানে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কলারোয়া থানার পিছনের গণকবরটিতে শুধুমাত্র জাতীয়
দিবসে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। তবে বর্তমানে সেখানে নামফলক ও টাইলস
বসিয়ে এটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। যদিও
বছরের বিশেষ একটি দিন ছাড়া ময়লা-অপরিস্কার অবস্থায় পড়ে থাকে শহীদদের এই
গণকবরটি। এছাড়া কলারোয়ার ভারত সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া
বাজারের শহীদ মিনারের পাশে গণকবরে শায়িত রয়েছেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ
নূর মোহাম্মদ ও এলাহী বক্স। স্থানীয়দের তত্ত¡বাধানে মোটামুটি সংরক্ষিত
আছে এই গণকবরটি। উপজেলার খোর্দ্দ-পাকুড়িয়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা
সোহরাব হোসেনের কবর রয়েছে, তবে এলাকার অনেকেই এ কবরের স্থান সম্পর্কে
জানেন না। এভাবে কলারোয়া উপজেলার সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক শহীদ
মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষের গণকবর। যেগুলো সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার
কারণে আজও তালাশ হয়নি। এমনকি মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসেও অনেক শহীদদের
গণকবরে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জোটেনা। এছাড়া ভূমিদস্যুদের দখল, অবহেলা আর
অযতেœর কারণে অধিকাংশ গণকবর ও বধ্যভূমির অস্তিত্ব প্রায় বিপন্ন। উপজেলার
সুশিল সমাজ ও সচেতন মহল অবিলম্বে শহীদদের এসব গণকবর যথাযোগ্য মর্যাদায়
সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও নতুন গণকবর চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করে উপজেলার নতুন
প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধে কলারোয়া উপজেলার বীরত্বগাঁথা ইতিহাস জানতে
সহযোগিতা করার দাবি জানান। জানতে চাইলে কলারোয়া উপজেলা সাবেক
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জানান, উপজেলায়
শহীদদের গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে বালিয়াডাঙ্গা বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী এবং কলারোয়া থানার
পিছনে গণকবর টাইলস বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো কয়েটি স্থানে সংস্কার
কাজ করা হয়েছে। এছাড়া অতিদ্রæত চিহ্নিত সব গণকবর ও বধ্যভুমি সঠিক ভাবে
সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা হবে। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক রুলী বিশ্বাস জানান, অতি দ্রুত এসব অবৈধ
দখলকারীদের উচ্ছেদ করে বীর শহীদদের গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা
করা হবে।
স্থানীয় মজুরদের দিয়ে গর্ত করিয়ে মাটি চাপা দেয়। সেসময় গণকবর খননকারী
কলারোয়ার মজুর প্রয়াত অমেদালী মৃত্যুর আগে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,
মাটি চাঁপা দেয়ার পূর্বে ১জন তরুণ গুলিবিদ্ধের পরও জীবিত ছিল, তারপরও
নরপশুরা ওই তরুণকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয়। এরআগে একজন অধ্যাপকসহ খুলনা
দৌলতপুর বিএল কলেজের কয়েকজন ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য ভারত
যাওয়ার পথে কলারোয়া-সরসকাটি সড়কের বামনখালী বাজারে পাক-বাহিনীর হাতে তারা
আটক হয়। এরা সবাই ছিলেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। পরবর্তীতে তাদের থানায়
নিয়ে আসার পথে অধ্যাপকসহ ৩/৪ জন পালিয়ে যেতে স্বক্ষম হলেও ৫জন শহীদকে
হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। এছাড়া উপজেলার পাঁচনল গ্রামের মতিয়ার, রশিদ,
শামসুসহ ৬জনকে পাক-বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববতী শার্শার জামতলা
বাজারের সন্নিকটে নেয়ার পথে পাক-হায়েনাদের কবল থেকে শামসুর রহমান পালিয়ে
আসতে স্বক্ষম হলেও অন্য ৫জনকে হত্যা করে সেখানে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কলারোয়া থানার পিছনের গণকবরটিতে শুধুমাত্র জাতীয়
দিবসে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। তবে বর্তমানে সেখানে নামফলক ও টাইলস
বসিয়ে এটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। যদিও
বছরের বিশেষ একটি দিন ছাড়া ময়লা-অপরিস্কার অবস্থায় পড়ে থাকে শহীদদের এই
গণকবরটি। এছাড়া কলারোয়ার ভারত সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া
বাজারের শহীদ মিনারের পাশে গণকবরে শায়িত রয়েছেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ
নূর মোহাম্মদ ও এলাহী বক্স। স্থানীয়দের তত্ত¡বাধানে মোটামুটি সংরক্ষিত
আছে এই গণকবরটি। উপজেলার খোর্দ্দ-পাকুড়িয়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা
সোহরাব হোসেনের কবর রয়েছে, তবে এলাকার অনেকেই এ কবরের স্থান সম্পর্কে
জানেন না। এভাবে কলারোয়া উপজেলার সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক শহীদ
মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষের গণকবর। যেগুলো সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার
কারণে আজও তালাশ হয়নি। এমনকি মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসেও অনেক শহীদদের
গণকবরে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জোটেনা। এছাড়া ভূমিদস্যুদের দখল, অবহেলা আর
অযতেœর কারণে অধিকাংশ গণকবর ও বধ্যভূমির অস্তিত্ব প্রায় বিপন্ন। উপজেলার
সুশিল সমাজ ও সচেতন মহল অবিলম্বে শহীদদের এসব গণকবর যথাযোগ্য মর্যাদায়
সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও নতুন গণকবর চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করে উপজেলার নতুন
প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধে কলারোয়া উপজেলার বীরত্বগাঁথা ইতিহাস জানতে
সহযোগিতা করার দাবি জানান। জানতে চাইলে কলারোয়া উপজেলা সাবেক
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জানান, উপজেলায়
শহীদদের গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে বালিয়াডাঙ্গা বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী এবং কলারোয়া থানার
পিছনে গণকবর টাইলস বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো কয়েটি স্থানে সংস্কার
কাজ করা হয়েছে। এছাড়া অতিদ্রæত চিহ্নিত সব গণকবর ও বধ্যভুমি সঠিক ভাবে
সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা হবে। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক রুলী বিশ্বাস জানান, অতি দ্রুত এসব অবৈধ
দখলকারীদের উচ্ছেদ করে বীর শহীদদের গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা
করা হবে।