বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ জিয়াউর রহমান বলেছেন, আহবমান কাল ধরে চলে আসা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকজ সংস্কৃতিকে লালন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। কারণ দিনে দিনে গ্রামবাংলা থেকে প্রাচীন লোক সংস্কৃতি ও খেলাধূলা বিলুপ্ত হতে চলেছে। আমরা সকলে মিলে যদি হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারি তাহলেই আগামী প্রজন্ম বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে চিরাচারিত টেনে নিয়ে যেতে পারবে।
তিনি বুধবার বিকাল ৩ টায় শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা উপলক্ষ্যে উপজেলার হাটবাটি সৎসঙ্গ মঠ মন্দির কমিটির আয়োজনে শৈলমারী নদীতে অনুুষ্ঠিত এক বিশাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাইচ কমিটির সভাপতি হিমাদ্রী বিশ্বাস হিমুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগনেতা বিবেক বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিতরণী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন থানার ওসি মোঃ রবিউল কবীর, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ শিল্পপতি ও সমাজসেবক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ বাপি রায়। বক্তৃতা করেন উপজেলা আ’লীগ নেতা রবীন্দ্র নাথ ঢালী, মৃন্ময় পাল, অধ্যাঃ মনোরঞ্জন মন্ডল, চয়ন বিশ্বাস, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপম বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষক শুভংকর মন্ডল, সহকারী শিক্ষক লিটন রায়, আ’লীগ নেতা পলাশ সরকার, সনেট মল্লিক, সাবেক ছাত্রনেতা মিঠুন রায়, অলোক মল্লিক, অনিমেষ মল্লিক, মিলন মল্লিক, কমলেশ সরকার, সাংবাদিক শাহীন বিশ্বাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা, আবুল হাশেম মলঙ্গী প্রমূখ। প্রতিযোগীতায় ৪টি নৌকার মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করে একটি ফ্রিজ জিতে নেন সাতক্ষীরা তালার আবুল হোসেনের নৌকা, ২য় স্থান অধিকার করে রঙিন টেলিভিশন অর্জন করেন উপজেলার হাটবাটি পবিত্র বাবুর নৌকা, ৩য় স্থান অধিকার করে রঙিন টেলিভিশন জিতে নেন মশিয়ার ডাঙ্গার সুরঞ্জনের নৌকা এবং ৪র্থ স্থান অর্জন করে সাতক্ষীরার ষষ্ঠগ্রামের মনিন্দ্রনাথের নৌকা। অতিথিবৃন্দ সকল বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। বাইচে নদীর দু’কূল দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে। পরবর্তীতে রাতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনার বটিয়াঘাটায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত
খুলনা প্রতিনিধি: