দৈনিক সমাজের কন্ঠ

ঝড়ের (বুলবুল) তান্ডবলীলায় কয়রা উপকূলবাসী।

অমিত কুমার ঢালী-কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনা জেলার কয়রা উপকূল এলাকায় গত ৯-১১-১৯ শনি বার আঘাত   হানার কথা থাকলেও বুলবুল এর প্রভাবে দিনভর বৃষ্টিপাত হয়। শনিবার  মধ্যরাত থেকে শুরু হয় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর তান্ডবলীলা তখন ঝড়ের গতিবেগ নির্ধারণ করা হয়
ঘন্টায় ১২০-১৬০ কিলোমিটার বেগে সেই সাতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত ও সংগঠিত হয়।১০ নং মহাবিপদ সংকেত থাকার কারনে স্থানীয় প্রশাসন ও  সেচ্ছাসেবক কর্মীদের সহায়তায় সর্বস্তরের  জনগনকে  মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য নির্দেশ  দেওয়া হয় সেইসাথে দূর্যগ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা  হাতে নেওয়া হয়।সর্বস্তরের জনগনের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।রবিবার সকাল থেকে একই অবস্থা বিরাজ করছিলো । সুন্দরবনের ফলে ঝডের প্রভাব কিছুটা কমতে দেখা যায়। রবিবার দুপুরের দিক থেকে ঝডের প্রভাব না থাকলেও
আকাশ পুরোপুরি মেঘলা দেখা যায় রবিবার সারাদিন তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৪°-২৫° সেলসিয়াস।
ঝডের পরবর্তী সময় এলাকায়  খোজখবর নিয়ে দেখা যায়, ঘূর্নিঝড বুলবুল এর প্রভবে এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সার্ধিত হয় যার মূল্য নির্ধারণ করা যায় না। এলাকার চিত্র পুরোটাই বদলে যায়। দুমডে মুচড়ে  যায় অধিকাংশ বড গাছপালা গুলো(চটকা,আম,জাম,মেহগনি,তালগাছ ইত্যাদি)।পাইকগাছা–কয়রা সডকে গাছপালা এতপরিমান ভেঙে পডে যাতে করে হালকা ও ভারী যানবাহন  এমন কি মানুষ চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে যায়,স্থানীয় সেচ্ছাসেবক কর্মী ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় চলাচলের উপযুক্ত এ ছাড়া অতি
বৃষ্টির ফলে পাইকগাছা-কয়রা মহাসডকে কয়েকটি  রাস্তায় ধস দেখা  যায় বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাডি ও বসতভিটার ওপরে ডালপালা পরার কারনে ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া  যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,১ নং আমাদি ইউনিয়ানের বাসিন্দা বাবু দেবব্রত কুমার সানা (কিনুকাটী) বসত ঘরের ওপর  রবিবার ভোর আনুমানিক ৪টা সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে পডলে
বাবু দেবব্রত সানা সহ তার পরিবারের কয়েক জন সদস্য গুরুতরভাবে আহত হয়।
কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষরার কারনে ধান চাষের অনেক দেরি হলে ও কৃষকরা ধানের ভালো ফলন আশা করে আসছিল। এখন ধান ফলার উপযুক্ত সময় কিছু ধানের খেতে ইতিমধ্যে ধান ফুলে গেছে।  এমতো অবস্থায় ঝড বৃষ্টির ফলে ধানের  জমিতে  জলা বধ্যতা সৃষ্টি  হয়েছে তাই কৃষকরা ফসলি জমির ক্ষতি সাধিত হতে পারে এমন আসঙ্কা করছে।
অতিবৃষ্টির ফলে খালবিলে জলা বধ্যতা সৃষ্টি  হলেও পানি নিষ্কাশন এর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।ঝডের প্রভাবে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।
স্থানীয় জন প্রশাসনের সহায়তায়  ক্ষয় ক্ষতি কটিয়ে ওঠতে সাহায্যে করে যাচ্ছে।