টিসিবির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রবিউল মোর্শেদ পূর্বাঞ্চলকে জানান, ঢাকা থেকে ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ এসেছে। মঙ্গলবার অথবা বুধবার থেকে এই বিক্রি শুরু হতে পারে। কতোটুকু পেঁয়াজ বিক্রি হবে বা কতো দামে বিক্রি হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। ঢাকার দামেই পেঁয়াজ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
টিসিবির প্রধান কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মিশর থেকে কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আজ সোমবার অথবা মঙ্গলবার ভোরে এই পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছাবে। বিমানবন্দর থেকেই এসব পেঁয়াজ সারাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। টিসিবির মাধ্যমে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হবে। সোমবার বিমান দেশে পৌঁছালে মঙ্গলবার থেকেই বিক্রি হবে। আর বিমান পৌঁছাতে দেরি হলে বুধবার থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে ১৭ থেকে ১৯ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন করে। যা’ কিনা পেঁয়াজের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ। চাহিদার বাকি ৪০ ভাগ অথবা ৭ থেকে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আমদানির ৯৫ ভাগ আসে ভারত থেকে। বাকি পেঁয়াজ আসে মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক থেকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজ আমদানির ওপর ভারতের ওপর এই অতি নির্ভরশীলতার কারণ হচ্ছে, পণ্যটি পচনশীল হওয়ায় কম সময়ের মধ্যে বাজারে ছাড়ার জন্য কাছের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে পরিবহন খরচও অনেক কম পড়ে। আর এজন্য ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের পর দাম হু হু করে বেড়ে গেছে।
তবে বর্তমান দাম বৃদ্ধির পেছনে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের কারসাজি রয়েছে বলে জানান তারা। কারণ ইতোমধ্যে দেশে পেঁয়াজবাহী জাহাজ এসেছে। পেঁয়াজও খালাশ হচ্ছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন মোকামে অতিরিক্ত দামেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারেও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
টিসিবির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রবিউল মোর্শেদ জানান, প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পেঁয়াজ আসবে। প্রতিদিন নগরীর ৫টি স্পটে ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। অন্য জেলাতে ২টি ট্রাকে করে ঘুরে ঘুরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। এতে অল্পদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।