কয়রা প্রতিনিধি:কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করা হয়েছে ।দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন পরিষদের ৬ জন মেম্বর ও ৭ জন গ্রাম পুলিশ। গত ২১ নভেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর ৭ জন গ্রাম পুলিশ লিখিত অভিযোগ করে জানান ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার তাদেরকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন। গত ৩ নভেম্বর ১৭৬ জন বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড বিতরণে ৩শ টাকা করে চৌকিদারদের দিয়ে আদায় করিয়েছেন।
চেয়ারম্যানের সমর্থিত কোন লোকজন সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী হলে প্রশাসনের নিকট তথ্য না দিতে চোকিদারের উপর নির্দেশ দেন। তার অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে সহযোগিতা করতে গ্রাম পুলিশরা অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি পরিষদের চৌকিদারের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করেন। এদিকে গত ১১ নভেম্বর মহেশ্বরীপুর ইউপির ৬ জন মেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরবার লিখিত অভিযোগ করে জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের এলজিএসপির ২০ লাখ টাকার পানির ট্যাংকি বিতরনে চেয়ারম্যান মেম্বরদের না জানিয়ে গোপনে সভা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। পুরুষ মেম্বরদের অনুকুলে বিতরনের জন্য মাত্র ৪টি ও মহিলা মেম্বরদের ৩টি করে পানির ট্যাংক দেয়া হয়েছে বলে ইউপি সচিবের মাধ্যমে মেম্বররা অবহিত হন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার বলন,তার নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সত্যতা যাচাই করার জন্য গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহেশ্বরীপুর আসেন।এ সময় মেম্বার ও চৌকিদারদের বিভিন্ন অনিয়ম,অনৈতিক সুবিধা গ্রহন, মেম্বার অচিন্ত্য কুমারের অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে ও নির্বাহী অফিসার কে জানানো হয়। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ্য করেন তিনি।