দৈনিক সমাজের কন্ঠ

খুলনায় বনবিভাগের সামাজিক বনায়ন রেঞ্জ অফিসারের কার্যালয় ঝুকিপূর্ণভাবে চলছে

 খুলনা প্রতিনিধি:

আফিলগেট বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসারের কার্যালয় ও বাসভবন ২০১৫ সালে গণপূর্ত বিভাগ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করলেও ঝুকি নিয়ে এ ভবনেই চলছে বনবিভাগের খুলনার ফুলতলা, দিঘলিয়া, তেরোখাদা, রুপসাসহ চার উপজেলার কার্যক্রম।এছাড়া খুলনা বিভাগের একমাত্র ট্রেনিং সেন্টারটি আটরা বনবিভাগের ভিতরে অবস্থিত, ট্রেনিং সেন্টার ভবনটিও দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণঅবস্থায় রয়েছে। এখানকার দায়ীত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার মোঃ এনামুল হক বলেন ২০১৮ সালের ১ আগষ্ট আমি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকে ঝুকিপূর্ণ ভবন হওয়া সত্বেও নিরুপায় হয়ে এভবনেই পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস ও অফিস করতে হয়, বাইরের থেকে কেউ আসলে ভয়ে অফিসের ভিতর বসতে চায়না। তাদের ভিতরে আতংক কাজ করে না জানি কখন ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়ে। রেঞ্জ অফিসারের কার্যালয় ও বাসভবনের ছাদের প্লাষ্টার ধ্বসে রড রেরিয়ে গেছে, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এছাড়া আফিলগেট বনবিভাগের মধ্যে রয়েছে সরকার নিষিদ্ধ পরিবেশের জন্য ক্ষতি কারক ও ক্যান্সার জমের পোষক বিশাল আকৃতির একটি ‘ইউক্যালিপটাস’ গাছ। বনবিভাগের আশপাশের বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পরিবেশের ক্ষতি কারক ও সরকার নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও এগাছটি সামাজিক বনবিভাগের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে কিভাবে থাকে ? স্থানীয়রা এব্যপারে বনবিভাগ (সামাজিক বনায়ন) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এব্যপারে জানতে চাইলে সামাজিক বনবিভাগ বাগেরহাটের প্রধান সহকারী ফারুক হোসেন বলেন পরিবেশের ক্ষতিকারক ‘ইউক্যালিপটাস’ গাছ ফুলতলা রেঞ্জের আফিলগেট বনবিভাগে আছে এটা আমার জানা ছিলনা। তবে অতি দ্রুতই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।