অমিত কুমার ঢালী, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :আমনের ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাতে কয়রায় ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে শীত অন্যদিকে অবিরাম বৃষ্টিপাতে বিশেষ করে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। সেই সাথে কষ্টে রয়েছে শিশু,বৃদ্ধ সহ সকল বয়সের মানুষ।
চলতি মৌসুমে ক্ষরার কারনে ধানচাষের অনেক সময় দেরি হয়। যখনই ধান ফোলার উপযুক্ত সময় কিছু ক্ষেতেও ধান ফুলে যায় এমতাবস্থায় ০৯-১১-২০১৯ তারিখে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এতে করে ঝড়ের প্রভাবে ফুলন্ত ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ফলে বিঘা প্রতি ধানের ফলন কম আশা করে আসছিল কৃষকগন।
বর্তমানে চলছে পুরোদমে ধান কাটা সহ মাড়াই করারই সময়। ঠিক কিছু দিনের ব্যবধানে ২বার হয়। বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ কৃষকের সোনার ফসল মাঠেই থেকে গেছে। আবার কেউ বা তাড়াহুড়ো করে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে ফসল বাড়িতে নিতে। কাটা ধানের উপর বৃষ্টির পানি জমে চুপসে গেছে। এমনকি অনেক ক্ষেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও হয়েছে।এর ফলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এছাড়াও গো খাদ্যের ও সংকট দেখা দিবে এমন অবস্থা বিরাজ করলে।
স্থানীয় কৃষক মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষকরা অনান্য বছর বিঘা প্রতি যে পরিমাণ ধান পেয়ে আসছে চলতি মৌসুমে তেমন পরিমাণ ধান পাবেন না। তারপরেও কষ্ঠের ফসল যে পরিমান হোক না তা নিয়ে মাথা ব্যাথা না করে ফসল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। কিন্তু ফসল কাটা মৌসুমে অনাবশ্যক বৃষ্টি কৃষকদের মধ্যে হতাশা দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। মাঠের ধান কবে বাড়িতে নিতে পারবে সে বিষয়ে কারও কোন ধারণা নেই। ফলে বৃষ্টিতে ভিজে মাঠেই ধানের ক্ষতি হব বলে আশঙ্কা বিরাজ করছে।
উপ: সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব হাবিবুর রহমান জানান , ” কয়রা উপজেলায় মোট ১৫,৬২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। পানি জমে তৈল জাতীয়, ডাল, সবজি, গমের বেশি ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে বেশি দিন যাবত কাটা ধান পানিতে তলানো থাকলে অঙ্কুরিত হতে পারে। ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে বাকি যাদের ধান মাঠে আছে তাদেরকে দ্রুত ধান কেটে বাড়িতে আনার পরামর্শ দেওয়া হল”।