ঋতু দে (খুলনা প্রতিনিধি) – আজ ২৩ মার্চ মঙ্গলবার দাকোপের পানখালীতে খুবির এগ্রোটেকনলোজি ডিসিপ্লিনের গবেষণা প্রকল্পের প্রদর্শনী ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গবেষকবৃন্দ খুলনার লবণাক্ত জমিতে বিনাচাষে সূর্যমুখী ও গম ফসলের চাষাবাদ এবং সার ব্যবস্থাপনার উপর একটি গবেষণা পরিচালিত করছেন। গবেষনাটি পরিচালিত হচ্ছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (KGF) বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (ACIAR) এর যৌথ আর্থিক সহযোগিতায়।
এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। এগ্রোটেকনাোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান। প্রকল্পের সহ-গবেষক এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃব্য দেন এগ্রোটেকনাোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোর্তজা নজরুল।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃব্য প্রদান করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল কবির। সভায় আরও বক্তৃতা দেন দাকোপ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, কৃষক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, কৃষাণী গীতা বালা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খুলনা অঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষকদের ধান চাষের পর যে সময়টা পাওয়া যায় সেটা কাজে লাগিয়ে বিনাচাষে সূর্যমুখী ও গম ফসল চাষাবাদ করা যাবে। পরিমিত পরিমাণে ইউরিয়া সার ব্যবহার করেই ধান তোলার পর দ্বিতীয় ফসলের চাষাবাদ করা সম্ভব। আগস্টের মাঝামাঝি ধান রোপণ করলে দ্বিতীয় ফসল চাষে সুবিধা পাওয়া পাবে। এর ফলে কৃষকরা অতিরিক্ত ফসল পাবেন। তাদের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তা উপকারে আসবে। কর্মসংস্থান হবে, খাদ্য উৎপাদন বাড়বে এবংভোজ্যতেল পাওয়া যাবে।
উল্লখ্য এর আগে গবেষক ও অতিথিবৃন্দ বিনাচাষে সূর্যমুখী ও গম চাষাবাদের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন।এবং ,এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য উপকূলীয় লবণাক্ত একফসলী এলাকায় অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশে দিন দিন ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলের ফাঁকা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে দেশকে ভোজ্যতেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা সম্ভব বলে অনুষ্ঠানে এমনটাই আশাবাদ করেন বক্তারা।