কয়রায় পানির ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ চাষেবাদে বির্পযয়

0
0

মোঃ ইসহাক আলী কয়রা, (প্রতিনিধি): বিগত ৫ বছর আগে শুরু হয়েেছ খুলনার কয়রায় তরমুজ চাষ। এর আগে এক ফসলি জমিতে ধান চাষ করার পর পতিত অবস্থায় থাকতো এ সকল জমি। প্রথমে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষক তাদের জমিতে তরমুজ চাষ করে ভাল ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় সেখান থেকে অধিকাংশ কৃষক ঝুকি পড়ে তরমুজ চাষে। বিগত বছরের তুলনায় উপজেলার আমাদী ও বাগালি ইউনয়িনে ৫ গুন বেড়েছে তরমুজ চাষ। কৃষকরা বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে তরমুজ চাষ করলেও র্দূযোগ প্রবণ উপকুলীয় এ জনপদে গত কয়েক মাস অনাবৃষ্টি ও স্থানীয় ভাবে পানির উৎস খাল গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় খরতাপের প্রভাব পড়ছে তরমুজরে উপর। পানির অভাবেই তরমুজের ফলন ফোলাতে পারছেনা কৃষকরা। অনাবৃষ্টির কারনে আকাশ থেেক ঝরছে খরতার তাপ। কৃষকের স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদী ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের তরমুজ চাষি অমালন্দ মন্ডল বলেন, পানির অভাবে তরমুজগাছ গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ফল নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই অনেক দুর স্যালো ডিপ থেকে পানি কিনে এনে কোন রকম গাছগুলো বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়ে উঠছেনা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৫০ হক্টের জমেিত তরমুজ চাষ করে কৃষকরা দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় এ বছর কৃষকরা উদ্বদ্ধ হয়ে ৬৫০ হক্টের জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। আমাদি ইউনিয়নের হরিকাটি গ্রামের শেফালী সরদার বলেন, গত বছর এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো দেখে এ বছর অন্যরে কাছ থেকে ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে প্রথমে তরমুজ চাষ শুরু করেছি। তবে পানির চরম সমস্যায় ভালো ফলন পাওয়া নিয়ে খুবই চিন্তিতি রয়েছি। তিনি বলেন, খালে পানি না থাকায় ডিপ থেকে পানি কিনে এনে গাছগুলো বাচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি\ এতে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। একই গ্রামের চন্দ্র শেখর মন্ডল বলেন, এ বছর প্রথম ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ করতে তার এ র্পযন্ত ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে পানির সমস্যার কারনে আসল টাকা উঠবে কিনা শংসয় রয়েছে । এলাকার গুরুত্বর্পূণ র্অথকারি ফসল তরমুজ চাষাবাদে কৃষি অফিসের উল্লখে যোগ্য কোন ভুমিকা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তিনি। তরমুজচাষকৃত এলাকার জমির ভিতরে খালগুলো সংস্কার করার পাশাপশি স্যালো ডিপের মাধ্যমে পানির উৎস্যর ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে তরমুজচাষিদের মাঝে আগ্রহ বাড়তো বলে অনেকেই মন্তব্য করেছে। কয়রা উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সমস্যা নিরোশনের জন্য খাল গুলো খনন করে সমাধান করা যায়কিনা সে ব্যাপারে উপজেলা সাধারন সভায় উপস্থাপন করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। পানির অভাবে গাছগুলো বাচিয়ে রাখার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here