৭৭ বছরেও বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি অন্ধ রুপিয়ার

0
0

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুপিয়া খাতুন (৭৭)। তার জাতীয় ন্যাশনাল আইডি কার্ডে বয়স ৭৭ পেরিয়ে গেছে। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৫ বছর আগে। তার দুই ছেলেও মারা গেছে অনেক আগে। চোখে দেখতে পান না প্রায়, কানেও শোনে। কিন্তু এতোগুলো সমস্যাও থাকার পরেও একটা ভাতার কার্ড দেয়া হয়নি তার। আজ জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও অসহায় জীবন-যাপন করছে রুপিয়া খাতুন। রুপিয়া খাতুন এখন ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না। ভুগছেন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে। তার মৃত ছেলেদের স্ত্রী ও নাতীদের সাথে থাকছেন তিনি। নাতীরা চাষাবাদ করে সংসার চালান। কোন রকমে দিন চলে তাদের। এর মধ্যে দাদির জন্য ওষুধ কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাদের জন্য। রুপিয়া খাতুনের নাতী জেয়নাল আবেদিন জানান, দাদির অনেক বয়স হয়েছে। সবসময়ই নানারকম রোগে-শোকে ভোগছেন। তার জন্য ওষুধ কেনা লাগে প্রায় সময়। আবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু খেতে চান কিন্তু অর্থাভাবে সব সময় কিনে দিতে পারিনা এজন্য খুব খারাপ লাগে আমাদের। তার যদি একটা ভাতার কার্ড থাকতো তাহলে তার ওষুধ কেনাসহ বিভিন্ন চাওয়া পূরণ করতে পারতাম। রুপিয়া খাতুনের পুত্রবধূ রাহিলা খাতুন জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর আমার শ^শুর মারা গেছেন। কিন্তু আমার শাশুড়ি একটা বিধবা ভাতার কার্ড আজও পর্যন্ত পাননি। শ^াশুড়ি কানে শোনেন না, চোখেও দেখতে পান না দীর্ঘদিন তবুও কার্ড তার হয়নি। আমরা কয়েকবার ছবি দিয়েছিলাম কিন্তু মেম্বর-চেয়ারম্যান কার্ড দেন নি। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি দায়সারা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আসলে এতোদিন উনার আইডি কার্ড আমরা হাতে পায়নি। তাই ভাতার কার্ড করে দিতে পারেনি। মূলত তার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছিলো এজন্য সমস্যা হয়েছিলো। তবে নতুন করে সে স্মার্ট কার্ড পেয়েছে এবং আমি তার স্মার্ট কার্ডের ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। এ ব্যাপারে কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল জানান, স¤প্রতি আমি তার আইডি কার্ডের কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়েছি। এবার নতুন কার্ড আসলেই তার কার্ড হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here