কলারোয়া হাসপাতালের ঘুষখোর স্যাকমো ফরহাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি’

0
2

কলারোয়া হাসপাতালের ঘুষখোর স্যাকমো ফরহাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি’র প্রথম দিন অতিবাহিত! ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বহুল আলোচিত AB24.Tv চ্যানেল ও দৈনিক সমাজের কন্ঠ পত্রিকা এবং প্রথম শ্রেণীর অন লাইন নিউজ পোটালে হাসপাতালের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিষ খাওয়া রোগীর কাছ থেকে ২৫০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার পর ১ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অপরাধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে নড়ে চড়ে বসেছেন হাসপাতালের উর্দ্ধৃতন কর্তৃপক্ষ। ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত স্যাকমো ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে উল্লেখ আছে যে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (হাসপাতালের) আলোচিত স্যাকমো মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী নিয়ম নীতির বহিভ্যূত কাজ করার অপরাধে ও হাসপাতালে আগত বিষ খাওয়া রোগীর আত্নীয় স্বজনের কাছ থেকে ২৫০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার পর ১ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অপরাধে ঘুষখোর স্যাকমো ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে গঠিত তিন সদস্য তদন্ত কমিটি’র প্রথম দিনের তদন্ত কাজ অতিবাহিত করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত উস্থাপক কলারোয়া শাখা- ১/২০১৯ স্বারক নং ৭২০- এ মোতাবেক তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি’র সভাপতি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে তার সমন্বয়ে ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মাহদী আল মাসুদ ও মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মেহবুবা রহমানের উপস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ তদন্ত কাজে পৃথক ভাবে ঘুষ নেয়ার অপরাধে অভিযুক্ত স্যাকমো ফরহাদ হোসেন ও অভিযোগকারী আব্দুস সালাম বয়ান পেশ করেন। মঙ্গলবার (১১ ই জুন) সকালে হাসপাতালের হল রুমে পাঁচ দিনের তদন্ত কাজের প্রথম দিন শেষ করা হয়। তদন্ত কমিটি’র প্রধান হাসপাতালের (আরএমও) শফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচ দিনের তদন্ত কাজের প্রথম দিন শেষ হওয়ায় বাকী ৪ দিনের তদন্ত কাজ শেষ করা হয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে (টিএসএ) কামরুল ইসলামের দপ্তরে। পরে তিনি সেটা সাতক্ষীরা সিভিল সার্জেন্ট অফিস দপ্তরে পাঠিয়ে দেবেন। প্রথম দিন তদন্ত কাজ সুস্থভাবে শেষ করা হয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা আছে তার কাছে। কোন কিছুর বিনিময়ে তদন্ত রিপোর্ট ১৯/২০ করার সুযোগ নেই। ঘটনা যেটা ঘটেছে সেটার সঠিক তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদনে জমা দেয়া হবে। তবে আশা রাখেন তদন্তে প্রমানিত হলে অভিযুক্ত স্যাকমো ফরহাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়ালভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান আরএমও। উল্লেখ্য গত ৭/৬/১৯ তারিখ শুক্রবার হাসপাতালের (এসএ সিএম) ফরহাদ হোসেন সকাল ৮ টা হতে বেলা ২ টা পর্যন্ত জরুরী বিভাগে কর্তব্যকালীন সময়ে বেলা ১১ টার সময় বিষপানকৃত রোগী উপজেলার সোনাবাড়ীয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২০) চিকিৎসা গ্রহনের জন্য হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালের জরুরী বিভাগে থাকা দায়িত্বরত স্যাকমো মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন রোগী রাজুর চিকিৎসা না করে তার চাচাতো ভাই আব্দুস সালামের নিকট চিকিৎসা বাবদ ২৫০০ টাকা দাবী করেন এবং ওই পরিমান টাকা না দিলে তিনি রোগীর চিকিৎসা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তার মধ্য ঘটনার দেড় ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন অপকার না পেয়ে এক পর্যায়ে আব্দুস সালামের কাছ থেকে জোর পূর্বক ১ হাজার টাকা নিয়ে স্যাকমো ফরহাদ হোসেন বিষ খাওয়া রোগী রাজুকে চিকিৎসা দিতে থাকেন। কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাকে বেডে ভর্তি করা হয়। সেই ঘটনার পরের দিন রোগীর চাচাতো ভাই আব্দুস সালাম হাসপাতালের (টিএসএ) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সত্যতা যাচায়ের জন্য (আরএমও) শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি প্রথম দিন তদন্তের কাজ সুস্থভাবে শেষ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here