ফিরোজ জোয়ার্দ্দার – সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা আর বর্ণাঢ্যে আয়োজনের মধ্যে দিয়ে রাজনীতি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জাতীয় শোক দিবস ও ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করলো উপজেলা আওয়ামীলীগ। বৃহস্পতিবার (১৫ ই আগস্ট) সকালে মুক্তিযুদ্ধা ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নেবেদনের পর বর্ণাঢ্যে র্যালী শেষ করে হাইস্কুল ফুটবল ময়দানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আয়োজিত শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি চারণ করে প্রধান অতিথী এ্যাড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেছেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পালাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে যাদের বিচারের রায় আজও কার্যকর হয়নি যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন তাদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রচেষ্টা আরও বেগবান করা হয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাই হবে শেখ হাসিনার সফলতা এবং জাতীর জন্য কলঙ্কময় অধ্যায়ের অবসান ঘটবে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে। তারা যে দেশেই থাক খুঁজে বের করে দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকার করা হবে। উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নূরুল ইসলাম ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মন্ময় মনিরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথী জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন বলেছেন, কোনো বাঁধাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে দাবীয়ে রাখতে পারবে না। তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে নেতাকর্মীদের আহবান করা হয়েছে। সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতীর পিতার চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়ন করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আর বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করবো এটাই শোক দিবসের প্রত্যয়। তাই শোককে শক্তিতে পরিনত করতে নেতাকর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়