ফিরোজ জোয়ার্দ্দার- সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সোনাবাড়ীয়া বাজার জামে মসজিদের পড়ার অনুপযোগী ও উইপুকা খাওয়া কেটে ছিঁড়ে ফেলা কুরআন শরীফ পুড়ানোর অপরাধে মসজিদ কমিটি’র সদস্য আলহাজ্জ্ব এয়াকুব আলী দর্জি (৪৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে থানা পুলিশ সোনাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলামের জিন্মায় দিয়ে দেয় এয়াকুব আলীকে। সে উত্তর সোনাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত নেছার আলী সরদারের ছেলে। ঘটনাটি শনিবার (২৪ই আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে সোনাবাড়ীয়া বাজার জামে মসজিদের পাশে ঘটে। ধর্মীয় আল কুরআন শরীফ জ্বালিয়ে দিয়ে ধর্মকে অবমাননা করে চলেছেন এক শ্রেণীর ধর্ম বিরোধী নাসতিকরা এমটাই ধারণা স্থানীয়দের৷ তারা মনে করেন পবিত্র ইসলাম ধর্ম কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দিয়ে এলাকায় ধর্মপ্রান মুসলমানদের মনে আক্রোশ বাড়িয়ে দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করে চলেছেন জামায়াত-বিএনপি’র ধর্ম বিরোধী নেতাকর্মীরা। তারা ধর্মকে পুঁজি করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান সুত্রে জানা যায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সোনাবাড়ীয়া বাজার জামে মসজিদের পড়ার অনুপযোগী কাটা ছেড়া অসংখ্যে কুরআন শরীফ মসজিদ কমিটি’র সদস্য আলহাজ্জ্ব এয়াকু্ব আলী দর্জি কুরআন শরীফগুলো নিয়ে গোডাউনের পাঁচিলের গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। জানা গেছে উত্তর সোনাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আফতাব সরদারের ছেলে মসজিদের ইমাম মোতালেব (৫০) ও বলিয়ানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে দায়িত্বরত মোয়াজ্জেম ইউনুস আলীর কথা মতো এই কুরআন শরীফগুলো পুঁড়িয়ে ফেলতে বলেন সদস্য এয়াকুবকে। সেই হুকুম মত এয়াকুব আলী মসজিদের কুরআন শরীফগুলো আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর সেগুলো পুঁড়তে দেখে স্থানীয় মুসুল্লীদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার অপরাধে এয়াকুবকে গণধোলায় দিয়ে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে কুরআন শরীফ পুড়ানোর আলামত সংগ্রহ করে আলহাজ্জ্ব এয়াকুব আলী দর্জিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এয়াকুব আলীর জিজ্ঞাসাবাদে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলামের জিন্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম জানান, কি উদ্দেশ্য কুরআন শরীফগুলো পুঁড়ানো হয়েছে সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে জামায়াত- বিএনপিপন্থী ইমাম মোতালেব হোসেন দায়িত্বরত মোয়াজ্জেম ইউনুস আলী ও মসজিদ কমিটি’র সদস্য আলহাজ্জ্ব এয়াকুব আলী দর্জি ধর্মকে পুঁজি করে কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দিয়ে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছেন। যদি ধর্মকে পুঁজি করে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তাহলে ধর্মপ্রান মুসুল্লীরা অপশক্তি মোকাবেলা করে আইনের হাতে তাদের তুলে দিয়ে অপরাধের জন্য আইন তাদের বিচার করবেন। তিনি মুসলমানদের পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়ানো ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন এমন জঘন্য ঘটনাটি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি কুরআন শরীফ পুঁড়ানো ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের সু- দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া মসজিদের কুরআন শরীফ পুঁড়ানোর অপরাধে এয়াকু্ব আলীকে থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ
