কলারোয়ায় মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করলেন সার্কেল এসপি মেরীনা আক্তার
News Admin
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলাকে ‘মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ইফটিজিং ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে জিহাদ ঘোষনা করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেরীনা আক্তার। বুধবার (২৯ ই মে) সকাল ১০টার দিকে কলারোয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের সভাপতিত্বে থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে’তে তিনি এসব কথা বলেন। কলারোয়া থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব হোসেনের পরিচালনায় পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আয়োজিত ওপেন হাউস ডে’তে প্রধান অতিথী হিসেবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেরীনা আক্তার তার বক্তৃতায় আরোও বলেন, মাদক ব্যবসার সাথে যত বড়ই রাঘব বোয়াল জড়িত থাকুক না কেন তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি কলারোয়াতে পুলিশের কোন সদস্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কিংবা সেবনের সহায়তায় থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ইফটিজিং ও বাল্য বিবাহ নির্মূল করতে হবে। আর এসব একেবারেই নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না যতক্ষণ পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পুলিশকে সহযোগিতা না করবেন। তাই এসবের বিরুদ্ধে আপনাদের আরো কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। তাছাড়া যারা নিজেদের মধ্যে দলীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে একে অপরের রোনালসে পড়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিপদে ফেলতে চান। পুলিশকে বিপদে না ফেলে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজে অগ্রগতি বাড়িয়ে সেদিক লক্ষ্য রেখে আপনাদের কঠোর ভাবে প্রতিহতো করতে হবে । আইন- শৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও কলারোয়া মানুষকে শান্তিতে বসাবস করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে এখন যা যা করা দরকার তাই করতে বদ্ধ পরিকর পুলিশ। সমাজে অন্যায় মূলক কাজে সবচেয়ে আগে পাশে পাওয়া যায় পুলিশ বাহিনীকে। জনগনের যান মালের হেফাজত করতে পুলিশ বাহিনী নিজেদের জীবন বাজি রেখে সেটা রক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু কিছু অসৎ পুলিশের কারণে সারা পুলিশ বাহিনীকে বদনামের ভাগিদার হতে হয়। এমন অবস্থায় পুলিশ বাহিনীতে চলতে দেয়া যাবে না। পুলিশের সুনাম কেহ নষ্ট করতে চাইলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের কোন সদস্য টাকার বিনিময়ে সঠিক তদন্ত রির্পোট পেশ না করে সাধারণ মানুষকে যদি হয়রানী করার চেষ্টা করেন তাহলে সেই পুলিশকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর রোটারী পাবলিকের মাধ্যমে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ককে বয়স বাড়িয়ে দিয়ে বিয়ে দিতে বা তালাক দিতে পারবে না। যদি এমন কোন ঘটনা রোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ঘটে থাকে তাহলে কাগজপত্র ছিড়ে দিয়ে সরাসরী আইনের আশ্রায় নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া এলাকাতেই ছোট খাট সমস্যগুলা পুলিশিং কমিটি’র প্রতিনিধি বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। কারণ যাতে করে সাধারণ মানুষ স্থানীয় আদালতের উপর আস্তা রাখতে পারেন। পুলিশিই জনতা, জনতাই পুলিশ- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ জনগনের সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য সর্বাত্নক সকলের সহযোগিতা পুলিশের একান্ত কাম্য। পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে বা জনগনের সেবা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে আহবান রাখেন সদর সার্কেল মেরীনা আক্তার। আয়োজিত ওপেন হাউস ডে’তে বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সম মোর্শদ আলী, সাবেক অধ্যাক্ষ এমএ ফারুক, ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, ইউপি চেয়ারম্যানগন শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, শেখ ইমরান হোসেন, আফজাল হোসেন হাবিল, এসএম মনিরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, আলহাজ্জ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, গাজী মাহবুবুর রহমান মফে, রবিউল হাসান ও ইউপি সদস্য ওসমান গনী প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন থানার এসআইগণ মাহমুদুল হাসান, রউচ উদ্দিন, মাসুদ হোসেন, পীষূষ কান্তি, সুবীর কুমার, শারমিন সুলতানা শিখা, এএসআইগণ জসীম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, রবিউল ইসলাম, নূর আলী, তরুন অধিকারী, মফিজুর রহমান, শেখ মোস্তাক আহম্মেদ ও সাগর আলীসহ পুলিশের সকল কর্মকর্তা ও স্থানীয় সূধীজন।