তরিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আযহা’ শেষে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন সফল করতে তৎপর কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে ৩টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁচা বাজার, মাছের বাজার ও ফলের দোকান খোলা ছিলো। তবে এ সময় কয়েকটি মুদি দোকান, হোটেল, মিষ্টির দোকান, চায়ের দোকানের অংশিক অংশ খোলা থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া অনান্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো বন্ধ। যশোর-সাতক্ষীরা ভায়া কলারোয়া মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীন সড়কে কিছু সংখ্যক নসিমন, করিমন, ট্রলি, ইঞ্জিন ভ্যান,ইজি বাইক, মহেন্দ্র গাড়ি চলতে দেখা গেলেও গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। এ দিকে জরুরী পরিষেবায় ব্যবহৃত পণ্য পরিবহনের চলাচল করতে দেখা গেছে। ঈদুল আযহা’ শেষে ঘরে ফেরা পথচারীদের মাস্ক পরিধান ও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয় তেমন কাউকে বাইরে আসতে দেখা যায়নি। লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৌর সদরসহ উপজেলার দেয়াড়া, খোর্দ্দ, সরসকাটি, বামনখালি, সোনাবাড়িয়া, গয়ড়া, বালিয়াডাঙ্গা হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশের তদারকি থাকলেও প্রথম দিনে উপস্থিতি তেমন লক্ষণীয় নই, বলে স্থানীয়রা জানাই। পৌর সদরে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে মাস্ক পরিধান না করা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন না করার অপরাধে ৩টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় আদালতকে সহায়তা করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দ। এ ছাড়া, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক তদারকি করতে দেখা যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২৩ জুলাই (শুক্রবার) থেকে আগামী ৫ আগষ্ট রাত ১২ টা পর্যন্ত সরকার ঘোষিত ’করোনা মোকাবেলায় বিধিনিষেধ’ বাস্তবায়নে ’আপনারা ঘরে থাকুন, আমরা বাহিরে আছি। তিনি সকলকে মাস্ক পরিধান, সামাজিক (শারীরিক) দূরত্ব বজায় ও সকল সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, সরকারী বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে তবে আর্থিক জরিমানা করা আমাদের লক্ষ্য নয়’ আপনাদের সুরক্ষিত রাখতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা ।