কলারোয়ার বাওড়ে বিলীন প্রাচীন কবরস্থান।জনপদও বিলীনের আশঙ্কা।সংস্কারের দাবি

0
0
সরদার কালাম কলারোয়া সাতক্ষীরাঃ :: কলারোয়ার বাওড়ে বিলীন প্রাচীন কবরস্থান।চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী।সংস্কারের দাবি। বিলীন হয়েছে প্রাচীন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মৃত্যুর পর শেষ ঠিকানা/আশ্রয়স্থল স্থানীয় গরীব মধ্যবিত্ত থেকে সকল শ্রেণীর বাসিন্দাদের কবরস্থানটিও বাওড়ের সেই ভয়াল থাবায় ভেঙ্গে হয়েছে বিলিন।অবশিষ্ট অংশটুকু আর কয়েকটি বন্যা ও বৃষ্টিতে বাওড়ে মিলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।এছাড়া রাস্তা ভেঙে ধীরে ধীরে ধাবিত হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসত বাড়ির দিকে-বাওড়ের পানির সেই ভয়াল ঢেউয়ের ভাঙ্গনে।আর কয়েক বছর রাস্তাটি এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকলে ওই বাওড়েই গেড়ে যাবে এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি ঘর,যার ভয়াবহ রূপ দেখা যায় টানা বর্ষা মৌসুমে এলাকায়।এভাবে একসময় হেলে,মুখ থুবড়ে পড়বে ওই এলাকার মানুষের বাপ দাদার স্মৃতি জড়িত পৈতৃক বসত ভিটা ও বাড়ি ঘর বাওড়ের ভিতরে।তাতে সর্বস্ব হারাবে এলাকার হাজারো বাসিন্দারা।প্রতিনিয়ত কষ্ট স্বীকার করে কৃষি ফসল ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো বাগানের পথ ধরে।কিন্তু দেখার কেউ নেই সাধারণ মানুষের ওই চরম দুর্ভোগ।এভাবেই আক্ষেপ করে নানা দুর্ভোগের কথা জানান-কলারোয়া দেয়াড়ার খোরদো-দলুইপুর বাওড় এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।তারা জানান,উপজেলার দলুইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তালুনদিয়ার গড়গড়িয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি বিলিন হওয়া ওই বাওড়ের উপরে রাস্তাটি প্রাচীন আমলেই নির্মিত এবং সেই থেকেই জনসাধারণের চলাচলের উপযুক্ত ছিল।কিন্তূ বিলীন হয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি চলাচলে একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে।কয়েক বছর গড়িয়ে সেটা-সংস্কারহীন অবস্থায় উত্তরাউত্তর অবহেলার মাত্রা বৃদ্ধিতে বাওড়ের সাথেই বিলীন হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এবং চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে একেবারেই বলে জানান ভুক্তভোগীরা।গুরুত্বপূর্ণ জনপদটি ভাঙনের পর ধাওয়া করেছে মানুষের বসত ভিটার দিকে এবং বাপ দাদার পৈতৃক সম্পত্তির বসত ভীটা বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যেতে হবে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।ওই এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান,দুর্ভোগের সাথে প্রতি ফসলসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে বাগান ও মানুষের বাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও,প্রয়োজনে যানবাহন কিংবা পায়ে হেঁটে চরম দুর্ভোগে-হাজারো পথচারীরা অগত্যা মানুষের বাড়ি-বন বাদড়-মেঠোপথে কষ্টের সহিত পাড়ি জমাচ্ছে বিভিন্ন যায়গায়। সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার দেয়াড়ার একটি বৃহত্তম জলাকারের মধ্যে ওই খোরদো বাওড়ই অন্যতম।যার চতুর্দিকে অবস্থান করছে শত শত বাড়ি ঘর-হাজারো মানুষ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ অন্যান্য উপজেলা এলাকা মানুষের চলাচল ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের ধারণানুযায়ী’২০০০’সনের বন্যা বা তার আগেই বাওড়ের ভাঙ্গনে এতো গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন জনপদটি বিলিন হয়ে আজ ১৮ বৎসর জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে,কিন্তু জনকল্যান মূলক এসকল কাজে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের সেই ১৮-১৯ বৎসর ধরে বলে আক্ষেপ করেন পথচারী থেকে স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। এছাড়া ওই প্রাচীন জনপদের সংযোগস্থল পৌঁছে গেছে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা উপজেলা শহরে বলে জানা গেছে।এমনকি উপজেলার ওই এলাকা থেকে একদিকে যশোর ও মাইকেল বাড়ি-খুলনা শহর যেতেও সহজ ও কম খরচে পাড়ি জমাতে পারে বাওড়ের উপর বিলিন হওয়া প্রাচীন জনপদটি দিয়ে বলে জানান তারা।এদিকে_স্থানীয়দের কৃষি ফসলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ও চলাচলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে-এমনটাই জানান-গোলাম মোস্তফা,ইদ্রিস আলী,নিছার আলী,আব্দুল আজিজ,রাকিবুল ইসলাম,শাওন হোসেন, সিরাজুল ইসলাম,রবিউল ইসলাম,মাষ্টার রিজাউল ইসলাম,তফিকুল ইসলাম,শরিফুল ইসলাম,এরশাদ আলী,আকমল হোসেন,বাবুল হোসেন,গোলাম হোসেন,শহিদুল ইসলাম,খোকন সরদার,লুৎফর রহমান,ইকরামুল ইসলাম, মেহেদী রুবেল,ইমরান হোসেন,আরশাদ আলীসহ সকল ভুক্তভোগী জনসাধারণ। অতি-দ্রুত নজরদারির সহিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে-বিলিন হওয়া ওই প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ জনপদটি সংস্কারের জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here