দৈনিক সমাজের কন্ঠ

কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ

তরিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। রবিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য দেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী জুবাইদুল হক রাসেল, ফাতেমা জামান সাথি, ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জীবন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মুজিব। সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটির ১২৩ তম কার্যদিবসে ৫ জন স্বাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেড ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপীল শুনানীর দিন ধার্য্য হওয়ায় স্বাক্ষীদের জেরা করছেন না আসামী পক্ষের আইনজীবীরা। তিনি আরো জানান, এ নিয়ে এ মামলায় মোট ৩০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম। সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেয় উচ্চতর আদালত। এরপর রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।