তরিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদাহ ইউনিয়নের হাওয়ালখালীতে ১৫ দিন বয়সী শিশু ঘুমন্ত অবস্থায় নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর বাবা-মায়ের স্বীকারোক্তিতে টয়লেটের সেফটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাতে লাশ উদ্ধার পূর্বক শিশুর মা ফাতেমা ও পিতা সোহাগ হোসেনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, ‘নিজেদের পুত্র সন্তানকে নিজেরাই বাথরুমে ফেলে দিয়ে খুন করেছে বাবা-মা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শিশুটির মা ফাতেমা নিজের ছেলেকে পিতা সোহাগের কাছে দেয়। শিশুটির বাবা বাড়ির উঠানে একটি খোলা টয়লেটের ট্যাংকির ভিতরে ফেলে দেয়। এমন স্বীকারোক্তি দেয় নিহত শিশু সোহানের মা ফাতিমা’। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) নিখোঁজ হয় ১৫ দিন বয়সী শিশু সন্তান সোহান। স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে নানীর বাড়িতে আশ্রিতা ফাতেমা সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগকে ভালোবেসে বিয়ে করে। শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারও স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানীর বাড়ি। এরপর গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরার আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের পুত্র সন্তান সোহান। বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে শিশুটি হারিয়ে গেছে বলে গুজব ছগড়ানো হয়। এরমধ্যে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে তারা এক কবিরাজের কাছে গেলে কবিরাজ জানান, শিশুটিকে জিনে নিয়ে গেছে। সেখানে ভালো আছে, কয় দিন পরে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ নিখোঁজের দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় এলাকয় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্দেহ হলে শিশুর মা-বাবাকে আটক করে। পরে শিশু সোহানের মা ফাতেমা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।