ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-কলারোয়া প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় খোরদো গ্রামের স্কুল পড়ুয়া মিমের সাথে দীর্ঘদিন প্রেম সম্পর্কে গোপনে বিয়ে করায় অবশেষে মিথ্যা অপহরণ মামলায় প্রেমিক হাবিবকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন জাদরেল প্রেমিকার মা। তার মেয়ে মিমকে হাবিব ফুসলিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে করার অভিযোগে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে রোববার (২৩ই জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকা থেকে পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে প্রেমিক যুগলকে আটক করেন। কিন্তু সম্পুর্ণ মায়ের অভিযোগ প্রত্যাখান করে মেয়ে মিম বলেন, জোরপূর্বক ফুসলিয়ে নয় তিনি সেচ্ছায় প্রেমিক হাবিবকে কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেছেন। কিন্তু তাদের বিয়েতে মেয়ের মা’র সন্মতি না থাকায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়। এতে প্রেমিক হাবিবের কোন দোষ নেই। আটক হাবিব কলারোয়া উপজেলা সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাদরা গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে। থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াসের নিদের্শনা মোতাবেক এসআই রইচ উদ্দিনের নেতৃত্বে এএসআই শেখ মোস্তাক আহম্মেদ সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ওই রাতেই ঝাউডাঙ্গা এলাকা থেকে অপহরণ মামলার আসামী হাবিবকে আটক করেন। আটক হাবিবকে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। এদিকে অপরহণ মামলায় আটক হাবিবের পিতা আব্দুল মজিদ জানান, তার ছেলের সাথে খোরদো গ্রামের রাজমিস্ত্রি কামরুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মিম (১৫) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম সম্পর্ক চলে আসছিলো। প্রেম সম্পর্ক এতটায় গভীর হয়েছে যে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় তাদের সিদ্ধান্ত। ঘটনার দিন সকালে মেয়ে মিম নিজ ইচ্ছায় কলারোয়া পৌর বাজারে এসে সুস্থ, সজ্ঞানে, তার ছেলে হাবিবকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। মেয়ের বয়স অল্প হওয়ার ছেলে হাবিব মেয়ে মিমকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু প্রেম মানে না বাঁধা। হাবিব যদি এই মূহুর্তে মিমকে বিয়ে করতে না চায় তাহলে মেয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। তাই মেয়েকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে সবার অজান্তে দু’জনের ইচ্ছায় হাবিব মিমকে বিয়ে করে ঝাউডাঙ্গা এলাকায় তার এক আত্নীয়র বাড়ীতে অবস্থান করেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে পুলিশ প্রেমিক যুগলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এছাড়া মেয়ে সেচ্ছায় তার ছেলে হাবিবকে বিয়ে করার পর মেয়ের মা ও তার মামার চক্রান্তে তার ছেলে হাবিবকে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা অপহরণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ মজিদের। প্রকৃত ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক হাবিবকে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দিতে জেলা পুলিশ সুপার মহাদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন অভিযুক্ত হাবিবের পিতা আব্দুল মজিদ।