দাকোপের সেই ছেলেটি আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

0
0

প্রনব মন্ডল, বিশেষ প্রতিনিধি। খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন সুতারখালি একটা গ্রাম।সুতারখালী গ্রামে সরদার বাড়িতে পিতা- মোঃ ইসমাইল সরদার ও মাতাঃ আমেনা বিবি র ঘরে ০৮ জানুয়ারি শনিবারে ১৯৯৪ সালে জন্মগ্রহন করেন তিনি।পিতামাতা তার নাম রাখেন মোঃ আলমগীর সরদার। পরিবারে ৬ জন ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৫ ম।ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অদম্য মেধাবী। তিনি ২০০৪ সালে সুতারখালী গাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (রেজিস্ট্রার) ৫ ম শ্রেনী পাশ করেন ।২০১০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জি.পি.এ -৫ পান সুতারখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ।সেখানেও তিনি সফলতা দেখান নিজের মেধার বলে ,ওই স্কুলে ২য় ব্যক্তি হিসেবে জি.পি.এ -৫ পান।তারপর ২০১২ সালে দৌলতপুর কলপজ (দিবা-নৈশ) থেকে ২০১২ সালে জি.পি.এ – ৪.৯০ পান। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি কোচিং এ ভর্তি হন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেন।তিনি সফলতার সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধে উত্তীর্ণ হন ও সেখানে Statistics Discipline ভর্তির সুযোগ লাভ করেন। তারপর থেকে ই তিনি মনস্হির করলেন তিনি ভবিষ্যতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন।সেখানে বন্ধু- বান্ধব, শিক্ষকদের সাথে অমায়িক ব্যবহার ও অদম্য চেষ্টায় অনার্সে (২০১৩-২০১৭) সেশনে সি.জি.পি.এ -৩.৮৫ পান ৪.০০ সি.জি.পি.এ ‘র মধ্যে। তখন ডিপার্টমেন্ট তার অবস্থান দাড়ায় ২য়। আরও উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে তিনি এম. এস.(২০১৮-২০১৯) সেশনে আবারও সফলতার স্বাক্ষর রাখলেন পূর্বের ন্যায় ডিপার্টমেন্ট এ ১ম শ্রেণীতে ১ ম হয়ে। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ও তিনি উত্তীর্ন হন ও ২০২০ সালের ৩০ নম্ভেম্বর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসেবে জয়েন করেন।এর আগে তিনি পার্টটাইম শিক্ষক হিসেবে ইম্পেরিয়াল কলেজে অফ সাইন্স ও টেকনোলজি, খুলনাতে কাজ করেন।

অতঃপর তার ছেলেবেলায় দেখা স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। তিনি আরও বলেন,” অদম্য ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা ও ধৈর্য্য” থাকলে জীবনে সফলতা আসবেই একদিন।
অবশেষে ,তিনি এমন সাফল্যের পেছনে পরিবারের অবদান ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অবদান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর দয়ার কথা স্বীকার করেন ও তার প্রতি যেন সৃষ্টিকতা এমন দয়া অক্ষুন্ন থাকে তার জন্য প্রাথর্না করেন সবসময়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here