মোঃ আজিজুল হক নাজমুল (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
সবাই তাকে ছকি পাগলী নামে চেনে। তার আসল নাম ছকিনা খাতুন(২৮) হলেও তিনি ছকি পাগলী নামেই খ্যাত। রাজারহাট বাজারে তার সার্বক্ষণিক অবস্থান। ঠিক কতদিন আগে তিনি রাজারহাট বাজারে এসেছেন কিংবা কোথা থেকে এসেছেন তা বলা মুশকিল। তবে লোক মুখে শোনা যায় ১৫/২০ বছরের কম না।
তিনি উন্মাদ না হলেও একেবারেই অপ্রকৃতিস্থ নয় তাও না। তার জীবন চলে ভিক্ষাবৃত্তি করে। তবে মাঝে মধ্যে তাকে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে দেখা যায়। সব সময় সবার কাছে ভিক্ষা না চাওয়া তার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ রকম দিশাহীন মানুষ গুলো সমাজের আনাচে কানাচে বসবাস করলেও কারো ক্ষতি কিংবা চুরি যে করে না এটা ছকির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এভাবে ছকি তার দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করলেও সম্প্রতি তার জীবানাচরনের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। হাট বাজার কিংবা রাস্তার ভাসমান কুকুর গুলো এখন তার নিত্য দিনের সঙ্গী। কুকুরের সাথে তার অবাদ বিচরণ ও নিদ্রাযাপন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রতিদিন ভিক্ষা করে যা আয় করে তার প্রায় ৭০ ভাগ কুকুরের পিছনে ব্যয় করেন। ১০/১২ টি কুকুরের খাদ্যের জোগানদাতা ছকি পাগলী এক দন্ড কুকুর ছাড়া চলতে পারেন না।
প্রত্যেহ ভোর বেলা থেকেই শুরু হয় কুকুরের প্রতি সেবাযত্ন। কুকুর গুলোকে আদরযত্ন, খাওয়ানো,কোলেপিঠে নেওয়া ও কুকুরের সাথে ঘুমানো এখন তার জীবনের বিরাট একটি অংশ।যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিছে। বিষয়টি অনেকের কাছে অবাস্তব বলে মনে হলেও তার কাছে এটাই বাস্তব। রাজারহাট আদর্শ মহিলা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অনন্ত চন্দ্র রায় জানান, মানুষের মনোজগৎ বড় বিচিত্র। কারো সংগে কারো মতের মিল হলেই প্রেম হয়ে যায়। সেটা মানুষের সাথেই হউক কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর সাথেই হউক।