কুড়িগ্রামে টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে নদ-নদীতে পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে

0
2

মোঃ আজিজুল হক নাজমুল প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম –
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৬ সে.মি ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২সে. মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল শুক্রবার দুপুর থেকে। পানি বাড়ছে তিস্তা ওদুধকুমার নদীতেও। কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার চর-দ্বীপচরগুলোতে সম্ভাব্য
বন্ধসঢ়;্যাবস্থায় নৌ ডাকাতি প্রতিরোধসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিস্বাভাবিক রাখতে জেলার ১১টি থানা পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশনাদিয়েছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। এ
নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ টহল জোড়দার করেছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল
ইসলাম জানান, ধরলার সেতু পয়েন্টে ও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। তবে নদ-নদীর পানি বাড়লেও বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা নেই। কুড়িগ্রাম সদরের চর যাত্রাপুরে গারুহারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে
পানি ঢুকে ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার সবকটি চরের আমন বীজতলা, পাট, ভুট্রা ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। নিচু এলাকার ঘর বাড়ি ডুবে যাওয়ায় গবাদীপশু নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদ-নদীর ভাঙন তীব্ররুপ ধারন করছে। ধরলার ভাঙনে সারডোববন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। চিলমারীর নয়ারহাট ও অষ্টমীরচর
ইউনিয়নের কয়েকটি চরে নদী ভাঙনে গত ২৪ ঘন্টায় ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, তার
ইউনিয়নের বেশীরভাগই চরে পানি ঢুকেছে। এক হাজার পরিবারের ৫ হাজার মানুষ
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর হাট সড়কের শুলকুর বাজার এলাকায় ধরলা
নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে নির্মাণাধীণ ব্রীজের পাশের বাঁশের সাঁকো তলিয়ে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঐ ব্রীজ এলাকার মানুষজন নৌকায় পাড়াপাড় করলেও হাটে পণ্য আনা নেয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্যাবসায়ী ও ক্রেতারা।

Attachments area

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here