দৈনিক সমাজের কন্ঠ

কুড়িগ্রামের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে

মোঃ আজিজুল হক নাজসুল –
কুড়িগ্রাম(প্রতিনিধি):
গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার ক্ষতচিহ্ন নিয়ে জেগে ওঠা বসত-বাড়ি, রাস্তা-ঘাটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার প্রায় ৮ হাজার মানুষকে।
গতকাল বুধবার বন্যাকবলিত তিস্তা তীরের আনন্দ বাজার, শিয়াল খাওয়ার চর, চতুরা, রামহরি, তৈয়বখাঁ ও চর তৈয়বখাঁ, বিদ্যানন্দ ও চর বিদ্যানন্দ, গাবুর হেলান, চর খিতাব খাঁ, চর গতিয়াসাম এবং ধরলা তীরের ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর, ছাট কালুয়া, নামা-জয়কুমর ও কিং ছিনাই ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ আশ্রয় থেকে মানুষ আবার ফিরে আসছে নিজ নিজ গৃহে। কিন্তু নোংরা পরিবেশে রোগব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা করছে তারা। এখনো অসংখ্য পরিবার খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকটে রয়েছে। খাদ্য সংকট আছে গবাদি পশুরও।

এ ব্যাপারে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম জানান,  পানিবন্দিসহ নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু পরিবার নদীভাঙনের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
এ ছাড়া কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি জমে থাকায় ফসলি জমির ভাদাই ধান, আমন বীজতলা, পাট, ভুট্টা, শাকসবজি, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি মাছের খামারসহ তিন শতাধিক ছোট-বড় পুকুর ডুবে যাওয়ায় কোটি টাকার মাছ জলে ভেসে গেছে। এ কারণে সবজি, মাছসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এতে নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে।

গতকাল তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী  আরিফুল ইসলাম জানান।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. রাশেদুল হক প্রধান বলেন, পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ এসেছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।