দৈনিক সমাজের কন্ঠ

রৌমারীতে পিঁয়াজের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি 

আজিজুল হক নাজমুল –
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজের
 চরাঞ্চলের মানুষের আয়ের একমাত্র  উৎস চাষাবাদ ও মাছ ধরা। পেঁয়াজের বাজারমূল্য বেশি থাকায় চরাঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পেঁয়াজ চাষ ভালো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড় চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কম খরচে অধিক ফলন ও ভালো দাম পেলে প্রতি একরে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে পেঁয়াজ চাষীদের।
কৃষক মো:  জলিল মোল্লা( ৪৫)  বলেন, আমি তিন একর জায়গায় পেঁয়াজ চাষ করেছি। আমার একর প্রতি খরচ হয়েছে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এক একর জমিতে ফলন হবে ৮০-৯০ মণ। বাজারে এক মণ পেঁয়াজ ১৮০০ – ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যাবে। এক একর জমির পেঁয়াজ বিক্রয় করে লাভ হবে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
সোনাপুর গ্রামের কৃষক মো:  লিটন মিয়া জানান যে,  চরের বালু মিশ্রিত জমিতে অন্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষ ভালো হয়। এবার বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় আমি ২ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি।পেঁয়াজ ক্ষেতে সামান্য সেচ দিলে ফলন আরো বেশি ভালো হয়। রাসায়নিক কোনো সারের তেমন প্রয়োজন হয় না। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে পাওয়া যায় আশাতীত ফলন। পেঁয়াজ চাষে পরিশ্রম কম ও লাভ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় চরাঞ্চলে পেঁয়াজের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এবার চরাঞ্চলে ২০০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
বন্দবেড় ইউনিয়নের খনজনমারা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড় চরাঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য খুব উপযোগী। বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করলে বদলে যেতে পারে চরাঞ্চলের দরিদ্র কৃষকের ভাগ্য। চরাঞ্চলে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করছি।
সিএসডিকে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক  আবু হানিফ মাস্টার বলেন, আমার চরাঞ্চলের কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থকারী ফসল পেঁয়াজ, চিনা, কাউন, বাদাম, মাষকালাই, মুসুর ডালসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে কৃষকদের বীজ, সার, নগদ অর্থ, পরামর্শ প্রদানসহ কৃষি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠান করে কৃষির টেকসই উন্নয়নে কাজ করছি।