দৈনিক সমাজের কন্ঠ

উপভূরুঙ্গামারীতে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

আজিজুল হক নাজমুল –
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
১৪ নভেম্বর ৪৮তম ভূরুঙ্গামারী হানাদার মুক্ত দিবস ২০১৯ উপলক্ষে
প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভূরুঙ্গামারী প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে
আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাবের
সভাপতি আনোয়ারুল হক। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেস
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টু, সহ-সভাপতি সরকার
রকিব আহম্মেদ জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক মাইদুল ইসলাম মুকুল,
প্রচার সম্পাদক রবিউল আলম লিটন, কার্যকরি সদস্য এসএম
গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
অন্য দিকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও পুর্নবাসন সোসাইটি
নিয়ন্ত্রিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের
করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায়
সাং¯কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভূরুঙ্গামারী
আক্রমনের পরিকল্পনা করার পর সেক্টর কমান্ডার এমকে বাশার, মিত্র
বাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জোসি সহ উর্ধ্বতন
সামরিক কর্মকর্তাগণ সাহেবগঞ্জ সাব- সেক্টরে আসেন। এসময়
ভারতীয় ষ্ষ্ঠ মাউন্টেন ডিভিশনের একটি ব্রিগেড এবং
বিএসএফের কয়েকটি কোম্পানী সার্বিক সামরিক সজ্জায়
সজ্জিত হয়ে ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ দিক খোলা রেখে পূর্ব, পশ্চিম ও
উত্তর দিক থেকে একযোগে আক্রমনের সিন্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা
মোতাবেক ১৩ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ
নেতৃত্বে প্রবল আক্রমণ শুরু হয়। অবশ্য এর একদিন আগে থেকেই
মিত্র বাহিনী কামান ও মর্টারের গোলা বর্ষণ সহ মিত্র বাহিনীর
বিমান শত্রæদের উপর গোলা নিক্ষেপ শুরু করে। ১৪ নভেম্বর ভোর হবার
আগেই পাকবাহিনীর গোলা বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায় এবং ঐদিন ভোরে
মুক্তিবাহিনী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে সিও অফিসের (বর্তমান
উপজেলা পরিষদ) সামনে চলে আসে এবং বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত
পতাকা উত্তোলন করে।