দৈনিক সমাজের কন্ঠ

আজ কুড়িগ্রাম মুক্ত দিবস

আজিজুল হক নাজমুল –
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধ:
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে কুড়িগ্রামকে পাক-হানাদার মুক্ত করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও এ অঞ্চলে সেদিন উদিত হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।
মহান বিজয়ের মাসের ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী ধরলা নদী পাড় হয়ে কুড়িগ্রাম শহরে অবস্থানরত পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ চালাতে থাকে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে চলে তুমুল যুদ্ধ। এ সময় যৌথ বাহিনী কুড়িগ্রাম শহরে অবস্থানরত পাক বাহিনীর অবস্থানের উপর বিমান হামলা চালায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পাক বাহিনী গুলি করতে করতে ট্রেনযোগে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় কুড়িগ্রাম জেলার অর্ধেক অংশ ছিল ৬ নং সেক্টর এবং বাকী অংশ ছিল ১১ নং সেক্টরের অধীনে। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী থানা ছিল মুক্তাঞ্চল। সেখানেই চলত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী কুড়িগ্রামকে হানাদার মুক্ত করতে শহীদ হন ৯৯ জন মুক্তিযোদ্ধা।

এরপর বীরপ্রতীক আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে কুড়িগ্রাম নতুন শহরস্থ পানির ট্যাংকির উপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত করা হয়।

কুড়িগ্রাম জেলায় মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন লে. আবু মঈন মো. আসফাকুস সামাদ বীর উত্তম (মরণোত্তর), শওকত আলী বীর বিক্রম, সৈয়দ মনছুর আলী (টুংকু) বীর বিক্রম, বদরুজ্জামান বীর প্রতীক, আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীক, আব্দুল আজিজ বীর প্রতীক এবং তারামন বিবি বীর প্রতীক।