বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজগর আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আনারুল হক, কুষ্টিয়া শহর শ্রমিক লীগের সভাপতি ইব্রাহীম স্বপন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন(বিএসসি), সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসানে, বিড়ি শ্রমিক নেতা ছাদ আলীপ্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার করছে। একই সাথে ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা এবং প্রজ্ঞা বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে গবেষণার নামে তারা বহুজাতিক কোম্পানির সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন করে মনগোড়া ফল প্রকাশের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।”
বক্তারা আরো বলেন, “বিদেশী সিগারেট কোম্পানীগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে বেকার জীবন যাপন করছে। কর্মসংস্থান না থাকাই পরিবার নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকি দিতে জালব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোলবিহীন নকল বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর যোগসাজসে কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান করে যাচ্ছে। ফলে নকল বিড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে সরকার কাছে বিড়ি শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালুর দাবি জানান বক্তারা।”