দৈনিক সমাজের কন্ঠ

সাতক্ষীরায় লকডাউনে কষ্টে দিন পার করছেন ব্যবসায়ীসহ নানান পেশার মানুষ

জহর হাসান সাগর, তালা প্রতিনিধিঃ
রোজগারে টান পড়ছে, অন্যদিকে  বাইরে বের হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি – মাস্কের ব্যবহার বাড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব।
জেলাভিত্তিক লকডাউন এ সাতক্ষীরা জেলার তৃতীয় সপ্তাহ লকডাউনে চলমান থাকায় চরম বিপদে আছেন ব্যবসায়ী সহ দিনে আনে দিনে খাওয়া মানুষগুলো। শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা খোলা রাখা এবং নিত্যপণ্যের বাজারের চরম অস্থিরতায় অন্য সব কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চালু না থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই পুনরায় আর্থিক ও মানবিক বিপর্যয় এড়াতে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী, অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মজীবী এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী শুরু থেকেই লকডাউনের বিপক্ষে এ যেন উভয় সংকট ইতিমধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষজন – বিশেষ করে  শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশাচালক ও দোকান শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ – কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানদারা  জানিয়েছেন,  উপজেলা নিবার্হী অফিসারের মাইক প্রচার করে আমাদের কে সতর্ক বার্তা দিয়ে গেছে,  আমরা জেনো দোকান বন্ধ রাখি । কিন্তু দোকান বন্ধ রেখে আমরা অনেক সমস্যায় পড়েছি কিস্তি  টাকা দিয়ে দোকানে মাল এনেছি সেই মাল বিক্রি না করতে পারলে কিস্তির টাকা শোধ করব কেমন করে।
 এদিকে  এনজিওকর্মীরা আমাদের কিস্তির টাকা শোধ করার  জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে,  আমাদের দোকান তো বন্ধ আমরা তাদের কিস্তির টাকা শোধ করবো কেমন করে, অন্যদিকে ঘর ভাড়া এবং বিদ্যুৎ  বিল নিয়ে আমরা অনেক বিপদে আছি। ব্যবসায়ীরা আরো জানান ,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দেওয়া হয়েছিল লকডাউন চলাকালীন কিস্তির টাকা না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু এনজিওকর্মীরা সেগুলা মানছে না।
 এ বিষয়ে এনজিও কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান জেলা প্রশাসক যদি আমাদের লিখিত দেয় তাহলে আমরা লকডাউন থাকলে  কিস্তি নিব না,  উনি ফেসবুকে না লিখে আমাদের তো লিখিতো দিতে পারে।
এমনিভাবে লকডাউন চলাকালীন নানান সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। এবং তাদের দাবি লকডাউন চলাকালীন সময়  কিস্তি এবং বিদ্যুৎ বিল যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমরা লকডাউন মেনে চলতে পারবো।