মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নতুন নয়। ২০১১ সালে বিষয়টি সামনে আসলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি চক্রকে ধরলেও থেমে থাকেনি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। রিমান্ডে থাকা আসামীরাও স্বীকার করছেন কীভাবে তারা প্রশ্ন ফাঁস করতেন। প্রশ্নফাঁসে যুক্ত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হওয়া ৭৮ জন শিক্ষার্থীর নামের তালিকাও পেয়েছে সিআইডি।
কিন্তু ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে ভর্তির হওয়া যেসব শিক্ষার্থী মেডিকেলে ৩য় বা ৪র্থ বর্ষ পার করে ফেলছেন, তারা ধরা পড়লে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে? প্রশ্ন ছিল ঢাকা মেডিকেলের অধ্যক্ষের কাছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, যারা এদের সুযোগ নিয়ে এদের সঙ্গে ব্যবসা করেছে প্রশ্ন নিয়েছে এবং এই সুবিধা নিয়ে যদি কেউ ভর্তি হয়ে থাকে তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেয়া হবে।
ছাত্রত্ব বাতিলতো হবেই, সাথে প্রচলিত আইনে বিচারের মুখোমুখীও হতে হবে, বলছে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল সভাপতি অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, এটি যদি প্রমাণ হয় তাহলে বিএমডিসি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে। যারা অভিযুক্ত থাকবে বিএমডিসি তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অতীতের মতই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, এই বিষয়টি যখন উত্থাপিত হয়েছে তখন গভীরভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে এতোদিন পর্যনত টানতে হতো না।যেমনভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে ব্যবস্থা নিয়েছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এবং মন্ত্রনালয় যা সিদ্ধান্ত নিবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর তা কার্যকর করবে।