মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে অলিয়ার রহমান তালুকদার ও খলিললুর রহমান তালুকদারের মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজীর
হাত থেকে বাঁচতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার চৌকিদার বাজারে স্থানীয়রা এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, চাঁদাবাজী ও মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার সিএস পাঠামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তালুকদার ওমর ফারুক, স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী ব্যাপারির স্ত্রী রুবি পারভীণ, হাফিজা বেগম, রিপন তালুকদার, ইমরান হাওলাদার, আবু তালুকদার, আতাহার তালুকদার, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় ছোট বাদুরা গ্রামের ইউসুফ আলী তালুকদারের ছেলে অলিয়ার রহমান তালুকদার ও খলিলুর রহমান তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নিরীহ মানুষকে মিথা মামলা দিয়ে হয়রানী করে
আসছে। আবার ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়ে আসামিদের কাছ থেকে কৌশলে চাঁদা আদায়
করেন তারা। এলাকায় কেউ নতুন বাড়ি বা অন্য কোন স্থাপনা করলে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা গ্রহন করেন
এই দুই ভাই। চাঁদা না দিলে, তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে চাঁদা না পেলে মারধরও করে থাকেন রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন মানববন্ধনকারীরা।
সিএস পাঠামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তালুকদার ওমর ফারুক বলেন, আমার ভাই
ইতালী থাকে, তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছে অলিয়ার রহমান তালুকদার ও খলিললুর রহমান পরবর্তীতে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। পুরো ৫ লক্ষ টাকা না দিতে পারার কারণে আমার নামে মোরেলগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে ১৮টি মিথ্যা অভিযোগ ও তিনটি মামলা করেছেন তারা। এসব মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি থেকে আমি মুক্তি চায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী ব্যাপারির স্ত্রী রুবি পারভীণ বলেন, সরকারি রাস্তার কাজ করানোর সময়, আমার স্বামীর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছিল খলিলুর রহমান। চাঁদা না দেওয়ায় আমাকেও মারধর
করেছে তারা।
আবু তালুকদার নামের এক বৃদ্ধ বলেন, মসজিদের বারান্দায় বসে আমাকে ঘুষি মেরে ৫টি দাত ফেলে
দিয়েছে খলিলুর রহমান। কোন বিচার পাইনি।
আতাহার তালুকদার নামের এক বৃদ্ধ বলেন, আমার ছেলে রিপন তালুকদারের নামে ৯টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে
তারা। অপরাধ শুধু তাদের চাহিদামত চাঁদা দিতে পারিনি।
সাখাওয়াত নামের এক ব্যবসায়ী অলিয়ার রহমান তালুকদার প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান
মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে অবসরে
যান।অবসরে যাওয়ার পর থেকে তারা তিন ভাই এলাকায় যা ইচ্ছে তাই করে। চাঁদাবাজী, মিথ্যা মামলা, নিরহ
মানুষকে মারধরসহ এমন কোন অপরাধ নেই যে, তারা করে না। আমরা এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা অলিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, ওমর ফারুক তালুকদার সম্পর্কে আমার
চাচা হয়। একটি পারিবারিক ঝামেলা হয়েছে, এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। দু-একদিনের মধ্যে আমরা
এর সমাধান করে ফেলব।
অন্যদিকে শিক্ষক ওমর ফারুক তালুকদারের করা একটি চাঁদাবাজী মামলায় অলিয়ার রহমান তালুকদারের ভাই
খলিলুর রহমান তালুকদার কারাগারে রয়েছেন।