মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নে পানিউন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পানগুছি বিষখালী খাল পূর্ন খননের আওতায় গুয়াবাড়িয়া ও কালিকাবাড়ি ৩ কিলোমিটার প্রশাখা খাল খননে দু’পাড়ে ২ শতাধিক বসতবাড়ির কবরস্থান মসজিদ ক্ষতির আশংকায় দুই গ্রামের মানুষ। ভূক্তভোগী গ্রামবাসিরা প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। রের্কড অনুযায়ী খাল খননের দাবি স্থানীয়দের।
সোমবার বেলা ১১টায় কালিকাবাড়ি গ্রামে স্থানীয় ভূক্তভোগী গ্রামবাসিরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে শত শত নারী পুরুষ অংশ নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত কালিকাবাড়ি গ্রামে জামাল খা, মোকলেছ তালুকদার, নাসির তালুকদার, ফোরকান শেখ, হাসিনা বেগম, সারমিন বেগম, আমজেদ তালুকদার, মেহেদীসহ একাধিকরা বলেন, পানিউন্নয়ন বোর্ড কতৃক পানগুছি বিষখালী খাল পুনখনন প্রকল্পের মাধ্যমে কালিকাবাড়ি গুয়াবাড়িয়া ৩ কিলোমিটার খালটি সংস্কার করার জন্য গত এক সপ্তাহ পূর্বে খাল কাটা শুরু করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর পূর্ব থেকে জমির দুই পাড়ের নির্দিষ্ট কোন পরিমান না করে প্রকল্পের কাজের বিষয়ে খালের দু’পাড়ে কত ফিট খাল কাটা হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট কোন ধারনা প্রকল্পের কর্মসূচির সাইনবোর্ড ব্যবহার না করে এলোপাতাড়ি গুয়াবাড়িয়া ও কালিকাবাড়ি এ দুই গ্রামের শত শত পরিবারের খালের দু’পাড়ের গাছ পালা, কেটে ক্ষতিসাধন করে বর্তমানে এ খননের আওতায় ৫টি মসজিদ, অর্ধশতাধিক কবরস্থান দুই শতাধিক বসতবাড়ি আওতায় রয়েছে। ক্ষতির আশংকায় রয়েছে গ্রামবাসিরা। ভূমিহিন হয়ে পড়ছে শত শত পরিবার। ব্যক্তিমালিকানাধীন রেকর্ডীয় জমি কেটে সাবাড় করছেন তারা। খালের দু’পাড়ের স্থানীয়দের দাবি সিএস ও এসএ রেকর্ড অনুযায়ী খালটির ম্যাপ রয়েছে ১৩ ফিট ০২ ইঞ্চি প্রশস্ত। বর্তমানে বিআরএস জরিপ নকশা অনুযায়ী যা সরকারিভাবে এখনও প্রকাশিত হয়নি। অথচ পূর্বের রেকর্ড অনুযায়ী খাল না কেটে ৬০ ফুট প্রশস্ত করে খনন করা হবে জানতে পারেন তারা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন গ্রামবাসিদের সাথে দুব্যবহার করছেন। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে খালের রেকর্ড অনুযায়ী খননের দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, নির্বাহী প্রকৌশী বাপাউবো বাগেরহাট ও নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা পূর্বের রেকর্ড অনুযায়ী খালটি পুনখননের জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধাদ. আকরামুজ্জমাান বলেন, গুয়াবাড়িয়া কালিকাবাড়ি প্রশাখা খালটি চলমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাটা হবে। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। তবে, প্রকল্প কাজের সিডিউল বিষয়ে তিনি অবহিত নন।
এ সর্ম্পকে জেলা পানিউন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ বলেন, পানগুছি বিষখালী খাল পুনখনন প্রকল্প চলমান কাজ ৬০ফিট খাল কাটা হবে। তবে, প্রশাখা খালগুলো চলমান প্রক্রিয়ায় পুনখনন করা হচ্ছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, হোগলাবুনিয়ার খাল খননে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি জেলা পানিউন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাসিক সভায় বিষয়টি উস্থাপন ও করা হয়েছে।