মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পল্লীতে ভারত ফেরত এক যুবক কর্তৃক ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত
মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কয়েকটি অশ্লীল,
কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে ইসলাম অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভুীততে আঘাতের ঘটনায় ফুসে
ওঠে এলাকার জনগন। শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ
এলাকাবাসী।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাসদাতা
কৌশিক বিশ্বাস (২৩) নামের ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত
সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আমরবুনিয়া গ্রামে। ফেসবুকে অশ্লীল
পোষ্টদাতা আটক কৌশিক ওই গ্রামের রমনি বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা
দায়ের হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ভারতে বসবাসকারী কৌশিক বিশ্বাস সম্প্রতি নিজ
বাড়িতে ফিরে এবং সে তার ব্যবহৃত ‘জেহাদি তোষণকারী’ নামক ফেসবুক আইডি থেকে
ইসলাম ধর্ম ও মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার পরিবার নিয়ে কটূক্তি করে অশ্লীল ও
কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ফুঁসে ওঠে স্থানীয় মুসল্লীরা। ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাতদানকারী কৌশিকের শাস্তির দাবিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে
বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকার জনগণ। এক পর্যায় মিছিলের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে
কৌশিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর করে এবং একটি খড়ের গাঁদায় আগুন ধরিয়ে
দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা থানার ওসি বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে
পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে। রাত ১০টার দিকে
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে আটক করে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক ও মোরেলগঞ্জ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো . জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে র্যাবসহ
আইন-শৃখংলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ।
এ ঘটনায় ফেসবুকে স্ট্যাটাসদাতা আটক কৌশিক বিশ্বাসকে আসামি করে একটি মামলা
দায়ের হয়েছে। অপরদিকে কৌশিকের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকেও
একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কৌশিক বিগত ৩ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলো। গত ৭ থেকে ৮
দিন আগে সে বাড়িতে ফিরে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
জেলা পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্দ দুঃখজনক। ঘটনার সাাথে
জড়িতদের চিহ্নিত করে তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে ঘরটি ভংচুর হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে একটি পাকা ঘর
তৈরি করে দেয়া হবে। থানা অফিসার ইন চার্জ মো. সাইদুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
১২ জনকে আটক করা হয়েছে। ##