এ ছাড়াও বড় হরিপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, সুহাসিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কার্তিক চন্দ্র ডাকুয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপক। চেয়ারম্যানের রোশানলে পড়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর দিপক কুমার মাঝি। নির্বাচিত এ ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা এক মাস ধরে এলাকা ছাড়া। দিপক কুমার মাঝি এ বিষয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্যপরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফরিদুল ইসলাম গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে হোগলাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই তিনি এলাকায় প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
চেয়ারম্যানের সর্বশেষ শিকার শ্রমিক জুয়েলের দুটি হাত ভেঙ্গে দেওয়ায় এখন সে বিছানায়। এ ঘটনা সম্পর্কে জুয়েল বলেন, ‘আমার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে নিয়ে গরুর মত পিটিয়েছেন। এখন আমি ছিানায়। আমার স্ত্রী, সন্তান অনাহারে’। এ ব্যাপারে জুয়েলের পিতা সুলতান শেখ বলেন, ‘নালিশ পাওয়া মাত্রই চেয়ারম্যান আমার ছেলেটাকে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিবে তা বুঝিনি’।
চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ইতোপূর্বে বড় হরিপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, স্থানীয় সুহাসিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কার্তিক চন্দ্র ডাকুয়াকে(৬৫) বাড়িতে গিয়ে মারধর করে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শনিবার চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সকল অভিযোগ সাজানো।
**শ্রমিক জুয়েল শেখের ছবি সংযুক্ত আছে।
**ইউপি সদস্য দিপক কুমার মাঝির সর্বশেষ অভিযোগের কপি সংযুক্ত আছে।
** অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র ডাকুয়ার মোবাইল নম্বর:- ০১৭৭১-৬৫২১৫৭।
**শ্রমিক জুয়েল শেখের মোবাইল নম্বর:-০১৭১০-৩১০২১৮।
** চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামের মোবাইল নম্বর:-০১৭১১-১৪১৪১১।