ডা. শাহরিয়ার আহমেদ: বিশ্বের দেশে দেশে মুসলিম ঐতিহাসিকগনের যতো ভাস্কর্য।
অনাদিকাল হতে মুসলিম দেশসহ সমগ্র পৃথিবী জুড়ে সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে নানা ধরনের ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে এবং অনেক ভাস্কর্য সংশ্লিস্ট দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
আফগানিস্তানে কিছুদিনের জন্য বর্বর তালেবানি শাসনকাল ব্যতিত কোন মুসলিম দেশে ভাস্কর্য বিরোধী কোন প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে মর্মে জানা নাই। পৃথিবীতে ভাস্কর্য শিল্পে মুসলিম ভাস্করদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রিয় মুফতি মুহাদ্দিসগণ আমাদের ইমান, আমল, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, তাওহীদ, রিসালাত, আখলাক, ইনসানিয়াত, পরিবার, সমাজ, ইহলোক, পরলোক এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে ইসলামের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করুন। বাংলাদেশে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, ধর্ষণ, বলৎকার সহ সামাজিক অপরাধ নিয়ে গঠনমুলক ধর্মীয় আলোচনা সহ সমাজিক আন্দোলন না করে ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের নামে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাস্কর্য এবং ম্যুরালকে ঘিরে উদ্বেগজনকহারে বিতর্ক করা হচ্ছে।
এমনকি তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার মতো নিন্দনীয় কাজও সংগঠিত করে বসেছে। বাংলাদেশের মানুষ জাতি ধর্ম বর্ন শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে দেশের সংস্কৃতি, ইতহাস, ঐতিহ্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীর নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরে হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আমার জানামতে পৃথিবীর ২১৫টি দেশে মুসলমান বাস করলেও এই মূহুর্তে বাংলাদেশ ব্যতিত পৃথিবীর অন্য কোন দেশে ভাস্কর্য বিরোধী কোন আন্দোলন বা বিক্ষোভ হচ্ছেনা। অথচ নিশ্চিত করে বলা যায় বাংলাদেশের বাইরে কোটি কোটি ইমানদার খাঁটি মুলনমান বাস করে।মুসলিম উম্মার অন্য কোন দেশে এ সংক্রান্তে সংশ্লিষ্টদের কোন মন্তব্য না থাকলেও এদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক।