সুজন মহিনুল,ক্রাইম রিপোর্টার।।নীলফামারীর ডিমলায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৩০টি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন ডিমলা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার(৬ নভেম্বর)দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নীলফামারী সংগলশী ইউনিয়নের ছোট সংগলশী গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে সাদেকুল ইসলাম(৪০),চড়াইখোলা হুগলীপাড়া গ্রামের সফিয়ার রহমানের পুত্র ফারুক হোসেন(২৮),ও খোকশাবাড়ী সরকারপাড়া গ্রামের গিরিজা কান্ত রায়ের পুত্র চন্দন কুমার রায়(২১)।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত ভোর রাতে(৬ সেপ্টেম্বর ভোর)ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ডালিয়া নতুন বাজারের আদিল টেলিকম হতে বিভিন্ন মডেলের ৫৫টি মোবাইল চুরি হলে টেলিকমের মালিক রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে জেলার কিশোরগঞ্জ থানাধীন কালিকাপুর চোষপাড়া(চৌধুরী বাজার)গ্রামের আইনুল হকের পুত্র হোমিনুর রহমান ওরফে হোসিনুরসহ অজ্ঞাত এক জনের নামে ডিমলা থানায় মামলা নম্বর-১০,তারিখ-১২/০৯/২০২২ইং দায়ের করেন।ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)লাইছুর রহমান ও ওসি(তদন্ত)বিশ্বদেব রায়ের দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই জাহিদ হাসান তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সঙ্গীয়ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার(৫ নভেম্বর)দিবাগত গভির রাতে নীলফামারী চড়াইখোলা ইউনিয়নের হুগলী পাড়া গ্রামে মোজাফফরের চাঁদনী ইট ভাটার ঘর থেকে চন্দনকে তার ব্যবহৃত চোরাই মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করেন।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মোবাইলটি ফারুকের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন বলে তিনি জানান।চন্দনসহ পুলিশ ফারুকের বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করলে ফারুক মোবাইল ফোন বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন।পরে পুলিশ তাদের নিয়ে দালালের বাজারে ফারুকের দোকান থেকে বিভিন্ন মডেলের ২৯টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।এ সময় ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো ধরনের রশিদ ও মেমো ছাড়াই মুদি ব্যবসায়ী সাদেকুলের নিকট থেকে ৩০টি মোবাইল ফোন তিনি নিয়েছেন বলে জানান।পরে পুলিশ চন্দন ও ফারুককে সাথে নিয়ে ছোট সংগলশি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সাদেকুলকে গ্রেপ্তার করেন।ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)লাইছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে একটি চোরাই মোবাইল ফোনসহ চন্দনকে গ্রেপ্তারের পর তিনি যার কাছে ওই মোবাইলটি কিনেছিলেন সেই ফারুকের কাছ থেকে ২৯টি মোবাইল উদ্ধার করাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এরপর ফারুক যার কাছ থেকে ৩০টি মোবাইল নিয়েছিলেন সেই সাদেকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।