শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। গরম কাপড় গায়ে জড়িয়েও শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা। প্রচণ্ড শীতের কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। সকালে পথের ধারে খড়-কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষদের।
ঘন কুয়াশার কারণে নড়াইল সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। প্রচণ্ড শীতে মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখিও কষ্ট পাচ্ছে।
এদিকে কনকনে শীত ও কুয়াশার কারণে বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ-ব্যাধির প্রকোপ বেড়েছে। হতদরিদ্র নিম্নআয়ের দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষজনের আয়-রোজগারের ক্ষেত্রেও পড়েছে বিরূপ প্রভাব।
এদিকে হঠাৎ করেই আবহাওয়ার এ পরিবর্তনে ছিন্নমূল মানুষকে চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। হাঁড় কাঁপানো শীতে থেমে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম ও চলাফেরায় মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজে যেতে পারছে না।
এতে দরিদ্র, অসহায় ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে রেলস্টেশন, বস্তিত ও বেড়িবাঁধের ওপরে বসবাসকারী হতদরিদ্র ছিন্নমূলের মানুষদের। প্রচণ্ড শীত পড়লেও বিগত বছরগুলোর সরকারি-বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে তেমন শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, তীব্র শীতের কাবু হচ্ছে শিশুরা। ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। বাস্তহারা কলোনীর বাসিন্দা সন্জয় দাস, বিমল দাস, বলেন, এবার ঠিক টাইমে শীত পড়ছে। তয় হুট কইরে শীত পড়ায় আমাগ খুব কষ্ট হছে। গরম কাপড় কিনতে গেলেও তো।টাকার দরকার লাগে তাই না।
আবহাওয়া অফিস জানায়, নড়াইল জেলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে আরো কয়েকদিন। দিনে তাপমাত্রা একটু বাড়লেও বিকালের পর থেকে আবারো তাপমাত্রা কমবে।