মোঃ শাহীনুজ্জামান, নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলের লোহাগড়া কাচা বাজারে সবজিসহ মাছ মাংশ নিত্য প্রয়োজনিয় পন্যের দাম লাগামহীন । লোহাগড়া বাজারের সবজি ক্রেতা কল্পনা জানান, বাজারে প্রতিটি পন্যের দাম যে পরিমান বেড়েছে নি¤œ আয়ের লোকেদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাজার তদারকি না থাকায় কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে । বাজারে সব ধরনের সবজি পর্যাপ্ত থাকলেও তারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে এ ক্রেতার সঙ্গে একমত হতে পারছেনা লক্ষীপাশা বাজারের সবজি বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন। তার মতে, পাইকারি বাজারে সবজি কম থাকায় সব ধরনের সবজিতে বাড়তি দাম রয়েছে। সবজির সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যাবে। লোহাগড়া লক্ষীপাশা এসব বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে ৬০ টাকা কেজি দরে। । এছাড়া কাঁচাপেঁপে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি এক সপ্তাহ আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে প্রতি কেজি পটল বিক্রি করতে দেখা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, উস্তে ১০০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ দিকে মাছ বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে সব ধরনের মাছ। এসব বাজারে দেশী প্রজাতির মাছের দেখা মিলছেইনা যদিও পাওয়া যায় তার প্রতি কেজি মাছের দাম যেমন শৈল ৭০০ েেথকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, রুই ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বাইলা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস, চাল, ডাল, ডিম, লবণসহ বেশিরভাগ মুদি পণ্যের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, লাল লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতিপিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম। প্রতি আঁটি লাল শাক, সাদা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। লাউ শাক প্রতি আঁটি ৪০ টাকা, কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, কচু শাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম বাড়া পণ্যের প্রধান তালিকায় রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু। ১৫ দিনের ব্যবধানে পণ্য গুলোর দাম ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ- ২৫০ টাকা, আদা-৫০ টাকা রসুনে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে।
এ বিষয় লোহাগড়া কৃষি অফিসার সমরেন মজুমদার বলেন বুলবুল ঝড়ের কারনে চাষীদের সবজির খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজি অনেক কম। তাই সবজির দাম বেড়েছে তবে কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সবজি বাজার জাত হবে ফলে দাম কমে যাবে বলে আমি মনে করছি।
মোঃ শাহীনুজ্জামান
০১৭১৫৬১৪৩২৪