মো:শাকিল আহম্মেদ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় এক নৃত্য শিল্পীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নৃত্য শিল্পী বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ যুবককে গতকাল রাতেই গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো, উপজেলার সুচারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান হিমেল, কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে সফিকুল ইসলাম রনি, ইলিয়াজদি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে সানজিদ, একই এলাকার হাসানের ছেলে সজিব ও বন্দর উপজেলার পিছকামতাল গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে সিয়াম। সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিব্বত কোম্পনীর একটি অনুষ্ঠান হবে বলে ১নং আসামী মাহমুদুল হাসান হিমেল ধর্ষিতা নৃত্য শিল্পীকে ৬ হাজার টাকায় চুক্তি করে। ১ হাজার টাকা বিকাশের অগ্রীম প্রদান করে। তাদের কথা মতো ধর্ষিতা ও তার সঙ্গী আশা মনি ও মামুনকে নিয়ে ১২টার দিকে দড়িকান্দি সেফওয়ে আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর গেইটে গিয়ে ধর্ষক মাহমুদুর হাসান হিমেলকে ফোন দেয়। এসময় হিমেল নৃত্য শিল্পী ও তার সাথে থাকা নৃত্য শিল্পী মামুনকে মেকাপ ও জামা পরিবর্তনের করার জন্য কনকর্ট কোম্পানীর বালুর মাঠ দিয়ে কাশবনের ভেতর ঢুকে। তখন নৃত্য শিল্পী তাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জিঞ্জেস করলে হিমেল জানায় সামনে তারা একটি বাড়িতে গিয়ে মেকাপ ও জামা পরিবর্তন করবে। এরপর কাশবনের মাঝখানে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ধর্ষক সজিব, সফিকুল ইসলাম রনি, সানজিদ ও সিয়াম অস্ত্রের মুখে নৃত্য শিল্পীর সাথে থাকা মামুনকে জিম্মি করে অন্যত্র নিয়ে গেলে নৃত্য শিল্পীকে ৪জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাহমুদুর হাসান হিমেল, সফিকুল ইসলাম রনি ও মোঃ সজিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ধর্ষিকাকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।