নেওয়াজ মাহমুদ নাহিদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কারনে মিলিটারীরা আমার স্বামীরে নাটোর থাইকা ধরে নিয়া গেছে ৭১’সালে। তারপর আর কোন খোঁজ পাইনি তার। অনেক খুঁজেছি তারপর থেকে। পরে শুনি হানাদার বাহিনী তারে মাইরা ফেলছে। ছেলে মেয়ে নিয়া অনেক কষ্ট করে দিন কাটাইছি। কোন কোন দিন না খাইয়াই কাটাইছি। যখন তারে মিলিটারী ধইরা নিয়া যায় ছোট ছেলের বয়স তিন মাস। যুদ্ধের সময় হওয়ার জন্যে তিনিই তার নাম রাখে মুক্তি। ছাওয়াল মাইয়া কেউ বাপের আদর পাইনাই। আমি অনেক কষ্টে খাইয়া না খাইয়া মানুষ করছি ওদের। কথা গুলো বলছিলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জামসেদ আলীর স্ত্রী জহুরা বেগম। তিনি আরো বলেন, আনছার গেজেটের ৪৮০ নাম্বারে আমার স্বামীর নাম মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে ছিলো। মুক্তিযুদ্ধা ভাতা শুরু থেকেই পাই। এছাড়া আর কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। আমি ছোট্ট একটা ভাঙা ঘরে থাকি। অনেক কষ্টে দিন কাটে। ছোট ছেলে দিনমজুরের কাজ করে। তার সাথেই খাই। ছেলেটারও বয়স হইছে। সরকার যদি নাতিটার একটা কর্মের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে আর কষ্টে থাকা লাগতো না।