ডা. শাহরিয়ার আহমেদ (সম্পাদক): আমাদের জাতীয় জীবনের এক অস্থির সময়ে নতুন বছরের আগমন ঘটল। নানান প্রত্যাশিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনাবহুল ২০২২ সালের ঘটনার রেশ ধরেই ২০২৩ সালে মানুষ এগিয়ে যাবে নতুন সম্ভাবনার আশা নিয়ে। নতুন আশায় বুক বেঁধে আরো একটি বছরের দিনলিপি পড়ে থাকবে পেছনে। উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়েই মানুষ আজ স্বাগত জানাবে ইংরেজি নতুন বছরকে।
প্রকৃতির পালাবদলে দিন যায়, মাস যায়, শেষ হয় বছর। শনিবার সন্ধ্যায় হয়েছে বছরের শেষ সূর্যাস্ত। রাত ১২টার পর বিদায় নিয়েছে আরো একটি বছর। নতুন বছর শুরু হলো। স্বাগত ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
সময় এবং মানুষের জীবন অবিচ্ছেদ্য। কালের যে স্রোত বইছে তা আমাদের জীবনেরই অংশ।
ইংরেজি বছরের সার্বজনীনতায় বিশ্ববাসী মেতেছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দ-উল্লাসে। সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের তকমা মুছে ফেলে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। স্বপ্ন আর দিনবদলের অপরিমেয় প্রত্যাশার রক্তিম আলোয় উদ্ভাসিত হবে শুভ নববর্ষ ২০২৩ ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ উচ্চারিত হচ্ছে শতকোটি কণ্ঠে। পুরনোকে বিদায় আর নতুনকে স্বাগত জানাতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানেই আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠান।
ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাজধানীসহ সারা দেশে নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর অভিজাত হোটেল, ক্লাব ও কূটনৈতিক পাড়ায় শনিবার মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় উৎসব।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমেও চলছে শুভেচ্ছা ঝড়। মোবাইলে পাঠানো হচ্ছে শুভেচ্ছা বার্তা। বিলি হচ্ছে কার্ড, নানা উপহার।
পাওয়া-না পাওয়ার স্মৃতি-বিস্মৃতির একটি বছর শেষে নতুন বছরের শুরুর দিন আজ। চোখের সামনে এসে দাঁড়ায় ধূসর হয়ে আসা সারি সারি চিত্রপট। কখনো বুকের ভেতর উঁকি দেয় ব্যক্তিমানুষের একান্ত দুঃখ-যাতনা। কখনো পাওয়ার আনন্দে নেচে ওঠে হৃদয়। রাষ্ট্র, সমাজ, গোষ্ঠী কত পালাবদল কত পূর্ণ না হওয়া স্বপ্নসাধ ডানা মেলে আকাশে। ভুলতে বসা কত স্মৃতি নতুন করে উঁকি দেয় মনে। জেগে ওঠে পুরনো বছরের কত পুরনো দৃশ্য। সামনে এসে নিঃশব্দে দাঁড়ায় স্মৃতি-বিস্মৃতির কত আড়াল।
বিদায়ী বছরের সঙ্গে সঙ্গে বিগত দিনের দুঃখ বেদনা ভুলে নতুন দিনে নতুন করে সব শুরু করার তাগিদে মেতে উঠে দেশবাসী।
বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা সীমিত। কল্পলোকে বিচরণের চেয়ে বাস্তবকে তারা সব সময়ই গুরুত্ব দেয়। কিন্তু তাদের স্বাধীন চেতনাকে কখনোই বশীভূত করা যায় না। নতুন বছর আমাদের জন্য সমৃদ্ধির বার্তা যেমন বয়ে আনবে ঠিক তেমনি প্রতিহিংসামুক্ত গণতান্ত্রিক চেতনাসমৃদ্ধ সুস্থ পরিবেশের প্রত্যাশাও আমাদের। বাংলাদেশ হয়ে উঠুক এ দেশের প্রতিটি মানুষের, প্রতিটি নাগরিকের, সেই প্রত্যাশায় শুভ নববর্ষ ২০২৩