স্টাফ রিপোর্টঃ যশোরের শার্শার পল্লীতে নিজের স্বামীর রেখে যাওয়া ফসলি জমি জোর পূর্বক দখলে বাঁধা দেওয়ায় এক বৃদ্ধ মহিলাকে পিটিয়ে আহত এবং তার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃতঃ আব্দুর রউফ মাষ্টারের বৃদ্ধা স্ত্রী নুরজাহান বেগমের সাথে একই গ্রামের মৃত কাশেম মোড়লের ছেলে জিয়াউর রহমান,আরশাদ আলীর ছেলে শিমুল এবং গোলাম হোসেনের ছেলে আব্দুল জলিলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর রেখে যাওয়া মাঠের একটি ফসলি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।গত কয়েক দিন আগে তারা জমি পরিমাপ করার জন্য আমিন নিয়ে আসে এবং জমি পরিমাপ করে আমিনের উপস্থিতিতে খুটি মেরে রাখা হয়।পরে তারা আবার সেই জমি পরিমাপ না মেনে জোর পূর্বক সেই খুটিয়ে উঠিয়ে দিয়ে জমি দখল করার জন্য নুরজান ও তার পরিবারের লোকজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
সে সময় বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দিলে বিষয়টি মিমাংসা হয়। পরে তারা মিমাংসা না মানিয়া আবার ও বৃদ্ধা নুরহাজান ও তার পরিবার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এরই জেরে গত ১৯ জানুয়ারি বিকালে জৈনক জলিলের বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলা হলে তারা তারা আবার ভয়ভীতি গালিগালাজ করতে থাকে এ সময় বৃদ্ধা নুরজাহান প্রতিবাদ করলে তার উপর চড়াও হয় এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তাদের সরকার ক্ষমতায় আসলে বৃদ্ধা নূরজাহান ও তার পরিবারকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিবে এবং তারা ডাক্তারি সাট্রিফিকেট ম্যানেজ করে উল্টো নুরজাহান ও তার ছেলেদের নামে মামলা করে জেলে পাঠাবে বলে হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
এ বিষয়ে শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আতিকুল ইসলাম জানান এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।