দৈনিক সমাজের কন্ঠ

মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জাশীলতা বেশী

লাইলি চৌধুরীঃ মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী”! এক বার এক স্কুলে স্থানীয় মহিলারা একটি সাধারণ সভার আয়োজন করেছিলেন।

সেখানে কথা বলতে যেয়ে এক মহিলা বলেছিল যে, “মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী।”

কথাটা শেষ করতে না করতেই একজন ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিবাদের সুরে বললেন, ‘আপা, আপনার কথাটা মানতে পারলাম না। পুরুষ মানুষের আবার লজ্জা দেখলেন কোথায়?
ওরা তো বেশরম- বেলাজ।
.
প্রথম মহিলা দ্বিতীয় মহিলার বক্তৃতা থামিয়ে বললো
“আপা, আপনি কি করেন?
তিনি বললেনঃ এই স্কুলে শিক্ষকতা করি।
প্রথম মহিলা বললো , কয়জন পুরুষ আর কয়জন মহিলা শিক্ষক আছেন এই স্কুলে?
তিনি বলেন, আমরা সমান সমান। চার জন পুরুষ চার জন মহিলা। হাসি মুখে উত্তর দিলেন ভদ্র মহিলা।
.
প্রথম মহিলা বললো, আপা আপনি কি কোন দিন আপনার পুরুষ সহকর্মীদের পেট-পিঠ দেখেছেন? ”
ভদ্রমহিলা ভ্রু কুচকে তাকালেন।
বললেন তার মানে..?
.
প্রথম মহিলা বললো “দেহ প্রদর্শন করা নির্লজ্জতা।
কিন্তু এই কাজটা সাধারণত পুরুষেরা করেনা। আপনার যদি কখনো ইচ্ছে হয়, আপনার কোন পুরুষ সহকর্মীর পেট কিংবা পিঠ দেখবেন, তাহলে তাকে ডেকে বলতে হবে ভাই আপনার শার্ট কিংবা পাঞ্জাবীটা একটু উপরে তুলুন তো, আমি আপনার পেঠ কিংবা পিঠ তা একটু দেখব।
সেই ভাই তখন নির্ঘাত আপনাকে পাগল মনে করবে।
.
আর আপনার পেট-পিঠ কতভাবে কত এ্যাংগেলে কত শত পুরুষ- মহিলা দেখছে তার কি কোন হিসাব আছে??
.
#পুরুষেরা পেট পিঠ বের করা পোষাক পরে বাইরে কিংবা অফিস-আদালতে যাবে না, এটা তাদের স্বাভাবিক লজ্জা। যা থাকা উচিত ছিল মেয়েদের।
অথচ মেয়েরা কিভাবে গলাটা আর একটু বড় করে কাঁধ এবং বুকের উপরি অংশ বের করা যাবে, কিভাবে জামার হাতার উপরি অংশ কেটে মাসেল দেখানো যাবে- সেই
চেষ্টা করে।
.
লজ্জাহীনতা মেয়েদের অস্থিমজ্জায় এমনভাবে ঢুকে গেছে যে,এ বিষয়টাকে তারা লজ্জার বিষয় বলে মনেই করে না…!
পোস্টটা হয়ত কারো কাছে খারাপ লাগবে। কিন্তু শিক্ষামূলক পোস্ট হিসেবে সবার পড়ার দরকার আছে।