সুজন মহিনুল,ক্রাইম রিপোর্টার।। নীলফামারীতে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অপরাধে মামলার পর ১৭ বছর পালিয়ে থাকা দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক আদালত তাদের মধ্যে একজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তারা হলেন-টুললু মাহমুদ(৪২) ও তার সহযোগী জোবেদা বেগম (৪৯)।বিচারিক আদালত ২০২২ সালের ১২ই জুন টুললু মাহমুদকে অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন ও তার সহযোগী জোবেদাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
রোববার (৩০ অক্টোবর)দুপুরে আইনজীবির মাধ্যমে তারা নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন।পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০০৫ সালের ১৩ই মার্চ জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের দক্ষিণ রাজীর গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীকে (১২)বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়।
ঘটনার দু’দিন পর (১৫ মার্চ) ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে টুললু মাহমুদ ও জোবেদা বেগম ভেকরীসহ ছয় জনের নামে কিশোরগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের তিন দিনের মাথায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ই মে টুললু মাহমুদ ও জোবেদা বেগম ভেকরীকে পলাতক দেখিয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে কিশোরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. নুরুল হুদা।
এই মামলার অন্য চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি আল মাসুদ আলাল জানান, মামলার পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টুললু মাহমুদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জোবেদা বেগম ভেকরীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মাহাবুবুর রহমান।২০০৫ সালে মামলা দায়ের হওয়া ও রায় ঘোষণার আগ থেকেই ওই দুই আসামি পলাতক ছিলেন।আদালতের রায়ের পাঁচ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রোববার দুপুরে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মাহাবুবুর রহমান।